All news

কেরানীগঞ্জে বসছে ২০০ সিসি ক্যামেরা

কেরানীগঞ্জে বসছে ২০০ সিসি ক্যামেরা

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার আওতাধীন পাঁচটি ইউনিয়নকে ২০০ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে। গতকাল বিকালে কেরানীগঞ্জের সেমন্তী কনভেনশন হলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কর্মযজ্ঞের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। ঢাকা জেলা পুলিশের উদ্যোগে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এতে পৃষ্ঠপোষকতা করছে দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের যে অঙ্গীকার, সেটি বাস্তবায়নে পুলিশ বাহিনী অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। কেরানীগঞ্জের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকা জেলা পুলিশের এই উদ্যোগ তারই অংশ। পুলিশ বাহিনী নিজের জীবন বিপন্ন করে মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত শান্তি সমাবেশের নামে ঢাকাসহ সারা দেশে যে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে, সেখানেও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বজায় রাখতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা আত্মাহুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, একসময় কেরানীগঞ্জ সন্ত্রাসের রাজত্ব ছিল। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্যে কেরানীগঞ্জে কেউ ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারত না। সব শ্রেণিপেশার মানুষ সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকত। সেই অবস্থা এখন আর নেই। আমরা কেরানীগঞ্জকে শান্তির জনপদে পরিণত করেছি। এতে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকার কথাও না বললেই নয়। নসরুল হামিদ বিপু বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মধ্যদিয়ে সাধারণ মানুষের নাগরিক অধিকার ও নিরাপত্তা জোরদারে আরো একধাপ এগিয়ে গেল। এই ধরনের সিসিটিভি দেশের আধুনিক এলাকা ছাড়া আর কোথাও নেই। কেরানীগঞ্জে যে সিসিটিভি ক্যামেরা বসতে যাচ্ছে, সেগুলো খুবই অত্যাধুনিক। প্রতিটি অলিগলিতে আমরা ক্যামেরা স্থাপন করব। এর মধ্যদিয়ে কেরানীগঞ্জের মানুষকে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা দিয়ে যাবে। ২০২৪ সালের মধ্যে আমরা কেরানীগঞ্জকে শতভাগ অপরাধমুক্ত ঘোষণা করব ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, ১৯০৫ সালে ঢাকার নবাববাড়ীতে প্রথম বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপিত হয়। ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৯৭ বছরে পাকিস্তান শাসনামলসহ সব সরকারের নেতৃত্বে মাত্র ৪৭ শতাংশ বিদ্যুতায়ন হয়েছিল।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৩ বছরে আমরা সারা দেশে শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পেরেছি। এখন সমগ্র বাংলাদেশ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত। অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের পক্ষে তার সেক্রেটারি, বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মাকসুদুর রহমান ১০ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেন। চেক গ্রহণ করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মধ্যদিয়ে ঢাকার উপকণ্ঠ কেরানীগঞ্জের বিশাল একটি জনপদ নিরাপত্তার চাদরে চলে আসছে। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ নুরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ম. ই. মামুন।

SOURCE : আলোকিত বাংলাদেশ