All news

কসবায় বসুন্ধরার সহায়তায় চক্ষু চিকিৎসা পেল ৫০০ রোগী

কসবায় বসুন্ধরার সহায়তায় চক্ষু চিকিৎসা পেল ৫০০ রোগী

বসুন্ধরা আই হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মান্দারপুর সরকারবাড়ি তরুণ প্রজন্ম সংঘের যৌথ উদ্যোগে গ্রামের পাঁচ শতাধিক মানুষকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের মান্দারপুর গ্রামে স্থাপিত ‘মা আমেনা গফুর চ্যারিটেবল হাসপাতালে’ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রোগীদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ওই গ্রামের বাসিন্দা প্রয়াত শাহআলম সরকার রিপনের স্মরণে এই সেবা কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়। বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কনসালটেন্ট ডা. মো. সাইফুল ইসলাম, মেডিক্যাল অফিসার কাজী আদনানসহ আটজনের একটি দল বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত রোগীদেরকে চিকিৎসা সেবা দেন। 

এ সময় ঢাকাস্থ মান্দারপুর সমিতির উপদেষ্টা এম. এ. কাইয়ুম সরকার, মান্দারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোতাহের হোসেন সরকারসহ এলাকার গণমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

ডা. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ৫০০ রোগীর নাম আগে থেকেই লিপিবদ্ধ করা ছিল। বিকেল নাগাদ অর্ধশতাধিক রোগীকে অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে অনেককে ব্যবস্থাপত্রের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে বাছাই করা রোগীদের বিনামূল্যে অপারেশন করবে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট। 

সেবা নিতে আসা গ্রামের বাসিন্দারা সাফিয়া খাতুন বলেন, স্বামী মারা গেছে কয়েক বছর হয়েছে। ঘরে এক ছেলে রয়েছে অসুস্থ। চোখের সমস্যা দেখা দিলেও ডাক্তার দেখাতে পারিনি। টাকা দিয়ে ডাক্তার দেখাতে হয়। এত টাকাও নেই শহরে গিয়ে দেখাব। গ্রামে বসুন্ধরার মাধ্যমে ফ্রি চক্ষু ডাক্তার দেখিয়েছি। ঢাকায় নিয়ে বিনামূল্যে ছানি অপারেশনও করাবে তারা।

বৃদ্ধ আবু তাহের বলেন, চোখের এলার্জি সমস্যা দেখা দিয়েছে অনেক দিন ধরে। ডাক্তারের মাধ্যমে সঠিক পরামর্শ পেয়েছি। ঢাকায় না গিয়ে হাতের নাগালে বসুন্ধরা আই হসপিটালের মাধ্যমে ফ্রি চিকিৎসা পেয়ে আমার মত সবাই খুশি। মা আমেনা গফুর চ্যারিটেবল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা এম. এ. কাইয়ুম সরকার, বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রতি বছর এমন আয়োজন করে গ্রামের সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ওষুধ পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে বসুন্ধরার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

SOURCE : বাংলাদেশ প্রতিদিন