All news

কেরাণীগঞ্জে বসছে ২০০ সিসি ক্যামেরা, পৃষ্ঠপোষকতায় বসুন্ধরা গ্রুপ

কেরাণীগঞ্জে বসছে ২০০ সিসি ক্যামেরা, পৃষ্ঠপোষকতায় বসুন্ধরা গ্রুপ

কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার আওতাধীন ৫ ইউনিয়নকে ২০০ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় সংসদ সদস্য, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এ কর্মযজ্ঞের উদ্বোধন করেন।

ঢাকা জেলা পুলিশের উদ্যোগে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এতে পৃষ্ঠপোষকতা করছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। 

অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক মাকসুদুর রহমান ১০ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেন। ঢাকার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান চেক গ্রহণ করেন।

সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মধ্য দিয়ে ঢাকার উপকণ্ঠ কেরাণীগঞ্জের একটি বড় জনপদ নিরাপত্তার চাদরে চলে আসছে। বিশেষ করে রাজধানীর পাশ্ববর্তী উপজেলা হওয়ায় বিভিন্ন সময় এখানে নানা অপরাধ সংঘঠিত হয়ে থাকে। সিসিটিভি নজরদারির আওতায় এলে কেরাণীগঞ্জের অপরাধ প্রবণতা অনেকাংশেই লাঘব হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নসরুল হামিদ বলেন, কেরাণীগঞ্জকে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকতে বসুন্ধরা গ্রুপ এগিয়ে এসেছে। কেরাণীগঞ্জের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বসুন্ধরা গ্রুপকে আমরা পাশে পেয়েছি।

এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পৃষ্ঠপোষকতাকারী প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের যে অঙ্গীকার সেটি বাস্তবায়নে পুলিশ বাহিনী অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। কেরাণীগঞ্জের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকা জেলা পুলিশের এই উদ্যোগ তারই অংশ। পুলিশ বাহিনী নিজের জীবন বিপন্ন করে মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত সমাবেশের নামে ঢাকাসহ সারাদেশে যে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে, সেখানেও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বজায় রাখতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা আত্মাহুতি দিয়েছেন। 

তিনি বলেন, এক সময় কেরাণীগঞ্জ সন্ত্রাসের রাজত্ব ছিল। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্যে কেরাণীগঞ্জে কেউ ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারত না। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকত। সেই অবস্থা এখন আর নেই। আমরা কেরাণীগঞ্জকে শান্তির জনপদে পরিণত করেছি। এতে পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকার কথাও না বললেই নয়। 

নসরুল হামিদ বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের নাগরিক অধিকার ও নিরাপত্তা জোরদারে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। এই ধরনের সিসিটিভি দেশের আধুনিক এলাকা ছাড়া আর কোথাও নেই। কেরাণীগঞ্জে যে সিসিটিভি ক্যামেরা বসতে যাচ্ছে, সেগুলো খুবই অত্যাধুনিক। প্রতিটি অলি-গলিতে আমরা ক্যামেরা স্থাপন করব। এর মধ্য দিয়ে কেরাণীগঞ্জের মানুষকে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা পাবে। ২০২৪ সালের মধ্যে আমরা কেরাণীগঞ্জকে শতভাগ অপরাধমুক্ত ঘোষণা করব ইনশাআল্লাহ। 

তিনি আরও বলেন, ১৯০৫ সালে ঢাকার নবাববাড়িতে প্রথম বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপিত হয়। ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৯৭ বছরে পাকিস্তান শাসনামলসহ সব সরকারের নেতৃত্বে মাত্র ৪৭ শতাংশ বিদ্যুতায়ন হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৩ বছরে আমরা সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পেরেছি। এখন সমগ্র বাংলাদেশ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত।

অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ নুরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেরাণীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ম. ই. মামুন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কেরাণীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজামান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সেক্রেটারি ও নির্বাহী পরিচালক মাকসুদুর রহমান, চিফ প্রটোকল অফিসার মেজর (অব.) মোহসীনুল হাকিম, একান্ত সচিব এমডি আমিনুল ইসলাম, ফেরদৌস বিন সিদ্দিক, বসুন্ধরা অয়েল অ্যান্ড গ্যাস কম্পানি লিমিটেডের ডিজিএম মো. শ্যামল, কালের কণ্ঠের উপ-সম্পাদক হায়দার আলী, নিউজটোয়েন্টিফোর টেলিভিশনের ডেপুটি সিএনই আশিকুর রহমান শ্রাবণ, বসুন্ধরা গ্রুপের এমডির সেক্রেটারিয়েট টিমের সদস্য রণিত সেন, মারুফ কাজী, সোহেল প্রমুখ।

SOURCE : সমকাল