All news

দেশের প্রথম কমোডিটি এক্সচেঞ্জের অনুমোদন পেল সিএসই

দেশের প্রথম কমোডিটি এক্সচেঞ্জের অনুমোদন পেল সিএসই

দেশের প্রথম কমোডিটি এক্সচেঞ্জ হিসেবে নিবন্ধন সনদ পেয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। আজ বুধবার বিকেলে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সিএসইকে এই সনদ দেওয়া হয়।

কমোডিটি এক্সচেঞ্জ সনদ প্রদান উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীমের হাতে কমোডিটি এক্সচেঞ্জের সনদ তুলে দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন। এ ছাড়া বিএসইসির কমিশনারসহ সিএসইর একাধিক পরিচালক ও শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর প্রথম উদ্যোগ নেয় সিএসই। সে অনুযায়ী ২০২১ সালের অক্টোবরে সিএসইকে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে শর্ত সাপেক্ষে প্রাথমিক সম্মতি জ্ঞাপন করে বিএসইসি। প্রাথমিক সম্মতি পাওয়ার প্রায় আড়াই বছর পর চূড়ান্ত অনুমোদন তথা সনদ পেল সিএসই।

এ নিয়ে সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সনদ প্রাপ্তির মাধ্যমে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার আইনগত সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এখন আমরা নতুন ধরনের এ এক্সচেঞ্জ চালুর জন্য হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার কেনাসহ প্রয়োজনীয় কারিগরি প্রস্তুতি সম্পন্ন করব। আশা করছি, চলতি বছরের মধ্যেই কমোডিটি এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম শুরু করতে পারব। শুরুতে স্বর্ণসহ কয়েক ধরনের পণ্য নিয়ে এই এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি চলছে।’

কমোডিটি এক্সচেঞ্জ হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনাবেচার সুযোগ থাকবে। তবে সেসব পণ্য সরাসরি নয়, কাগুজে বা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে কেনাবেচা হবে। আর মূল পণ্যটি থাকবে কোনো গুদামে বা মাঠে। সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর এটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি বা হস্তান্তর হবে।

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু করতে সিএসইর সঙ্গে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছে ভারতের মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ (এমসিএক্স)। সিএসই সূত্রে জানা যায়, নতুন কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু করতে সব মিলিয়ে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার মতো বিনিয়োগ করবে সংস্থাটি। সিএসইর সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কমোডিটি এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

দেশে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার জন্য ২০০৭ সালে সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে পরবর্তী সময়ে সরকারের এ উদ্যোগ গতি হারায়। ২০১৭ সালের আগস্টে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার আগ্রহ প্রকাশ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে চিঠি দেয় সিএসই। মন্ত্রণালয় থেকে পরে তা বিএসইসিতে পাঠানো হয়। আর ২০২০ সালে বিএসইসির নেতৃত্ব বদলের পর কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর বিষয়ে আবারও কার্যক্রম শুরু হয়, যা এখন কার্যকর হলো।

SOURCE : প্রথম আলো