All news

বসুন্ধরার কোরআন প্রতিযোগিতায় ৪৫ জন পুরস্কৃত, সেরা আটজন পেলেন ২৯ লাখ টাকা

বসুন্ধরার কোরআন প্রতিযোগিতায় ৪৫ জন পুরস্কৃত, সেরা আটজন পেলেন ২৯ লাখ টাকা

দেশের সবচেয়ে বৃহৎ হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর, পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা'র প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়ে ১০ লাখ টাকার পুরস্কার জিতেছে মারকাজুল ফয়জুল কুরআন মাদরাসার শিক্ষার্থী হাফেজ নুরুদ্দীন মোহাম্মদ জাকারিয়া। জাকারিয়া ছাড়াও শীর্ষ ৪৫ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। এর মধ্যে সেরা আটজনকে মোট ২৯ লাখ টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) নবরাত্রি হলে আড়ম্বরপূর্ণ সমাপনী অনুষ্ঠান ও ইসলামিক কনফারেন্সের মধ্য দিয়ে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের নগদ অর্থ ও সনদপত্র তুলে দেয়া হয়।

এছাড়া হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছেন ঢাকা উত্তরের মো. শাহরিয়ার নাফিস সালমান, তিনি পেয়েছেন ৭ লাখ টাকা। তৃতীয় হয়েছেন কুমিল্লার শামসুল উলূম তাহফিজুল হিফজ কোরআন মাদরাসার মো. মোশাররফ হোসাইন, তিনি পেয়েছেন ৫ লাখ। চতুর্থ ও পঞ্চম হয়েছেন ঢাকা দক্ষিণের মারকাজুত তাহফিজ মাদরাসার দুই শিক্ষার্থী মো. নাসরুল্লাহ আনাছ এবং মোহাম্মদ বশীর আহমদ। পুরস্কার হিসেবে তারা পেয়েছেন দুই লাখ টাকা করে। সেরা আটের বাকি তিনজন ময়মনসিংহের মো. লাবিব আল হাসান, সিলেটের মো. আবু তালহা আনহার ও ঢাকা দক্ষিণের আবদুল্লাহ আল মারুফ পেয়েছেন ১ লাখ টাকা করে।

এই প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের বিশেষ সম্মাননা ও সনদপত্র দেওয়া হয়। ১ম থেকে ৮ম বিজয়ী প্রত্যেকেই বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে পিতা-মাতাসহ পবিত্র ওমরাহ হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এদিকে, প্রতিযোগিতার ৯ম থেকে ৪৫তম স্থান অধিকারীরাও পেয়েছেন আর্থিক সম্মাননা। জানা যায়, প্রথমবারের মতো দেশের সবচেয়ে বৃহৎ এই প্রতিযোগিতা দেশে প্রায় ১০ হাজার প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।

সমাপনী অনুষ্ঠান উদ্বোধনী বক্তব্যে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ইসলাম কত সুন্দর এই হাফেজদের দেখলে সেটা অনুধাবন করা যায়। যতদিন বসুন্ধরা গ্রুপ থাকবে ততদিন এই আয়োজন অব্যহত থাকবে। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের প্রতি অনুরোধ করবো তারা যেন একটা আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলেনা। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি জমি দান করবো।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত থেকে আগত শায়খুল ইসলাম হুসাইন আহমাদ মাদানি (রহ:) এর সুযোগ্য নাতি আওলাদে রাসুল (সা:) সায়্যিদ মুফতি আফফান মানসুরপুরী (হাফিজাহুল্লাহ)।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীর। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ইসলাম মানে শান্তি, ইসলাম মানে মানবতা, আমি যত দিন বেঁচে থাকবো কোরআনের আলোকে বিশ্বব্যপী ছড়িয়ে দেবার চেষ্টা করবো। আগামী বছর আমরা আরও বড় পরিসরে এই আয়োজন করবো।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সুদূর মিশর থেকে আসেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্বারি শায়খ ড. আহমাদ আহমাদ -নাইনা (হাফিজাহুল্লাহ), তিনি পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করেন। পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন বিশ্ববরেণ্য কারী, বাংলাদেশের শায়খুল কুররা, শৈল্পিক তেলাওয়াতের রূপকার, শায়খ আহমদ বিন ইউসুফ আযহারী (হাফিজাহুল্লাহ) এবং বিশ্বজয়ী বাংলাদেশি হাফেজ তাকরিম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহতিয়া (দা.বা.),জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব আল্লামা মুফতি রুহুল আমিন।

উল্লেখ্য, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির এই অনন্য আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করে দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। পবিত্র রমজান মাসজুড়ে বেসরকারি টেলিভিশন নিউজটোয়েন্টিফোর চ্যানেলে হাফেজদের এ প্রতিযোগিতা সম্প্রচারিত হয় ।

SOURCE : ঢাকা টাইমস