দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ‘এবিজি বসুন্ধরা’র পৃষ্ঠপোষকতায় তিন বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গতকাল রবিবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘দ্য ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব এপেক্স অব বাংলাদেশ’।
সংবর্ধনা ও সম্মাননা পাওয়া বীরাঙ্গনারা হলেন মাগুরার লাইলি বেগম, রাজবাড়ীর নুরজাহান বেগম ও কুষ্টিয়ার দুলজান নেছা। অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা পুরস্কারজয়ী সাবেক ক্রিকেটার রকিবুল হাসানকেও সম্মাননা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর। অনুষ্ঠান উদ্বোধনের কথা থাকলেও ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে থাকতে পারেননি তিনি। তাঁর অনুপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন কালের কণ্ঠ’র প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। অনুষ্ঠানে সম্মাননা পাওয়া ব্যক্তিদের হাতে ক্রেস্ট ও ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন তিনি।
ইমদাদুল হক মিলন বলেন, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। বিদেশ থেকে ফিরতে না পারায় তিনি উপস্থিত হতে পারেননি। তিনি বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করতে পেরে আনন্দিত।
ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘এপেক্স বাংলাদেশ আজ যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে, আজকের দিনে এর চেয়ে বড় অনুষ্ঠান আর কিছু হতে পারে না। যে তিনজন বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের অবদানের কথা বলে আমরা শেষ করতে পারব না। তাঁদের অবদানের ফলেই আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশে, স্বাধীন মাটিতে দাঁড়িয়ে আছি, আমরা কথা বলতে পারছি।’
তিনি বলেন, “বসুন্ধরা গ্রুপের স্লোগান ‘দেশ ও মানুষের কল্যাণে’। যেখানে মানুষের কল্যাণ হবে, দেশের কল্যাণ হবে, সেখানে বসুন্ধরা গ্রুপ হাজির থাকবে এবং থাকে। আজকের অনুষ্ঠান এর একটি উত্কৃষ্ট উদাহরণ। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সম্পর্কে কিছু না বললেই নয়। আমাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রতি শুক্রবার ৯ থেকে ১০ হাজার এতিম ও গরিব মানুষকে খাওয়ান। তিনি এ দেশের প্রত্যেক দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনেক রকম উদ্যোগ নিয়েছেন। আমাদের কালের কণ্ঠ পত্রিকা ঘিরে একটি সংগঠন আছে। চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নির্দেশনায় এটি আমি তৈরি করি, যেখানে প্রায় সাত লাখ ছেলেমেয়ে কাজ করে। আমরা এক হাজার ৭৫০ জন ছেলেমেয়েকে মাসিক শিক্ষা বৃত্তি দিচ্ছি। প্রতি মাসের ১ তারিখে তাদের হাতে টাকা পৌঁছে যায়। আমরা অনেক মানুষকে ঘর তুলে দিয়েছি, দোকান করে দিয়েছি, ভ্যান, সেলাই মেশিন কিনে দিয়েছি। এ ছাড়া ৩৭ হাজার নারীকে বিনা সুদে ঋণের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।”
মাগুরার বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা লাইলি বেগম বলেন, ‘আমাদের সম্মান দেওয়ায় বসুন্ধরাকে ধন্যবাদ। এপেক্স বাংলাদেশ আমাদের এনেছে বলে তাদেরও ধন্যবাদ।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এপেক্স বাংলাদেশের জাতীয় সভাপতি মো. আবদুল মতিন সিকদার বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ সব সময় দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করে থাকে। ভবিষ্যতেও তাদের পাশে পাব বলে আশা রাখি।’
এপেক্স বাংলাদেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক এম সায়েম টিপুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, এপেক্স বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনিসুজ্জামান শাতিল এবং এপেক্স বাংলাদেশের ন্যাশনাল সেক্রেটারি মোহাম্মদ আদিল হায়দার সেলিম। এতে সভাপতিত্ব করেন এপেক্স বাংলাদেশের জাতীয় যুব ও নাগরিকত্ব পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বাবু।
SOURCE : কালের কণ্ঠকুষ্টিয়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের কম্বল বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Distribute Blankets in Kushtia
শাজাহানপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের শীতবস্ত্র বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Distribute Blankets in Shajahanpur
ফেনীতে বসুন্ধরা শুভসংঘের শীতবস্ত্র বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Distribute Blankets in Feni
গাইবান্ধায় বৃদ্ধাশ্রমের অসহায়রা পেলেন বসুন্ধরা শুভসংঘের কম্বল
Helpless People of the Old Age in Gaibandha Receive Blankets from Bashundhara Shuvosangho
বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে মেধাবী শিক্ষার্থীকে আর্থিক অনুদান
Financial Grants to Meritorious Students Under the Initiative of Bashundhara Shuvosangho