All news

চায়না টাউন প্রতিষ্ঠায় জমি দিতে প্রস্তুত বসুন্ধরা গ্রুপ

চায়না টাউন প্রতিষ্ঠায় জমি দিতে প্রস্তুত বসুন্ধরা গ্রুপ

ঢাকায় চায়না টাউন প্রতিষ্ঠার জন্য যদি জমির প্রয়োজন হয় তাহলে বসুন্ধরা গ্রুপ তা দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর। এছাড়া ‘চায়না স্ট্রিট’ নামে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি রাস্তার নামকরণের প্রস্তাবও দিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দেশের সর্ববৃহৎ মিডিয়া হাউজ ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ পরিদর্শন করার জন্য ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং আসলে তাকে এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়।

সেদিন চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ডেইলি সানের কনফারেন্স হলে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক ও নিউজ টোয়েন্টিফোর, রেডিও ক্যাপিটালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নঈম নিজাম, ডেইলি সানের সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরের সম্পাদক জুয়েল মাজহার, কালের কণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তফা কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর চীনা রাষ্ট্রদূতকে চীন আগ্রহী হলে ঢাকায় চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব বলে প্রস্তাব দেন। এ জন্য জমির প্রয়োজন হলে তা দিতে প্রস্তুত বসুন্ধরা। এ প্রস্তাবে লি জিমিং সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, চীন বসুন্ধরার এই প্রস্তাব বিবেচনা করবে।

বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাংলাদেশে একটি চীনা ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় লি জিমিংয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মাঝে ব্যবসা ও বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক। বাংলাদেশে যদি চীনা ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয় তাহলে ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও সহজ হবে।

চীনা রাষ্ট্রদূত এ প্রস্তাবে একমত পোষণ করে বলেন, বাংলাদেশে চীনা ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। এ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা কিভাবে করা যাবে সে বিষয়ে তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলেও আশ্বাস দেন।এছাড়া বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবাসিক এলাকার একটি রাস্তাকে চায়না স্ট্রিট নামকরণের ঘোষণা দিলে চীনা রাষ্ট্রদূত আনন্দের সঙ্গে এ প্রস্তাবে সম্মতি দেন। এরপর চীনা রাষ্ট্রদূত ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া হাউজ পরিদর্শন করে উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেন, এখানে এসে তিনি আনন্দিত। এটি সত্যিই একটি বড় মিডিয়া হাউজ।

SOURCE : দৈনিক অধিকার