বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর বলেছেন, দেশের উন্নয়নে জুয়েলারি খাতের বিকল্প নেই। আমার কাজ ছিল জুয়েলারি খাত গুছিয়ে আনার। সেটা করেছি। এখন এই শিল্পকে ধরে রেখে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ সারা দেশের ৪০ হাজার জুয়েলারি ব্যবসায়ীর। বাংলাদেশে এই যে বড় বড় উন্নয়ন হচ্ছে। আরও উন্নয়ন পরিকল্পনা হচ্ছে, এগুলো একটা সময় আমার কাছে স্বপ্ন মনে হতো। কিন্তু আমার এখন অনেক সাহস হয়ে গেছে। আমি এখন বাংলাদেশে যেকোনো মেগা শিল্প কারখানা করার জন্য প্রস্তুত। কারণ আমার এই শক্তির জোগান দিচ্ছে সরকার। এ সরকার গত ১৪ বছরে দেশের উন্নয়নে মিরাকেল ঘটিয়েছে। যা বিশ্ব প্রতিযোগিতায় অবিশ্বাস্য রোল মডেল। আমি আজকে বাংলাদেশি হিসেবে গর্ববোধ করি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত ‘বাজুস সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা-২০২২’-এর সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। তিনি জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে আরও বলেন, আমি সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করি। আমার অনুপ্রেরণা ইতিবাচকতা, উৎপাদনশীল এবং অগ্রগতি। আর ভালো কাজে বাধা আসবে, এটাই স্বাভাবিক। ভালো কাজ করতে কষ্ট হবেই। এটার সুফল অনেক বড় এবং স্থায়ী। যেকোনো জিনিসই প্যারেন্ট থেকে শুরু, ফ্ল্যাটলাইন থেকে শুরু। তো আমি মনে করি বাজুস আমি ফ্লাটলাইন থেকে শুরু করেছি। আই উইল গো স্টেস বাই স্টেস নাউ। একটা একটা করে ফ্লোর বানিয়ে যাব। এটাই আমার অনুপ্রেরণা, এটাই আমার উৎসাহ, এটাই আমার চিন্তা, এটাই আমার ধারণা এবং আমি এটাই করব। এ কাজ করার জন্য যা যা করার দরকার। যে যে জায়গা যাওয়া দরকার, আমি তা-ই করব। এ শিল্প নিয়ে শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা দুনিয়াতেই নিয়ে যাব আমি। সবার কাছে বলব বাংলাদেশে আসুন।
বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, আমার যে জুয়েলারি কারখানা হচ্ছে, সেখানে প্রায় ১২ হাজার ভরি উৎপাদন করব। প্রাথমিকভাবে ৬ হাজার শ্রমিক কাজ করবে। আমি ৫ বছরের যে রোডম্যাপ করেছি। সেখানে প্রায় ৩০ হাজার ভরি পর্যন্ত গয়না তৈরি করব। ৩০ থেকে ৪০ হাজার লোক আমার কারখানায় কাজ করবেন। আমার মতো যদি আরও ১০টা উদ্যোক্তা আসে। এ জুয়েলারি শিল্প বাংলাদেশকে উজ্জ্বল করবে। ধীরে ধীরে এ শিল্প অন্য শিল্পকে ছাড়িয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে রাজধানী ঢাকার সব বাজুস সদস্যসহ সারা দেশের জেলা শাখাগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা শাখাগুলোর সভাপতিসহ প্রায় দেড় হাজার জুয়েলারি ব্যবসায়ীর মিলন মেলায় পরিণত হয়। এর আগে দুপুরে সারা দেশের জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা বাজুস প্রেসিডেন্ডের সঙ্গে তার বাসভবনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সভায় সাংগঠনিক দিকনিদের্শনামূলক বক্তব্য দেন বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর।
এ ছাড়াও আইসিসিবিতে বিকালে জেলা ও উপজেলা নেতাদের অংশগ্রহণে জাতীয় প্রতিনিধি সভা-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় সারা দেশের জুয়েলারি ব্যবসায়ী নেতাদের কাছে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা ও সাংগঠনিক কর্মপরিধি তুলে ধরেন বাজুসের সাবেক সভাপতি ডা. দিলীয় কুমার রায় ও এনামুল হক খান দোলন, সহসভাপতি গুলজার আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, এম. এ. হান্নান আজাদ, বাদল চন্দ্র রায়, ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন, সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার আগরওয়ালা প্রমুখ।
নাটোরের ৪০ জন অসচ্ছল নারী পেলো বসুন্ধরা শুভসংঘের কাছ থেকে সেলাই মেশিন
Bashundhara Shuvosongho Give Forty Sewing Machines to Insolvent Women in Natore
নাটোরে ২০ জন অসচ্ছল নারীকে সেলাই মেশিন দিল বসুন্ধরা গ্রুপ
Bashundhara Shuvosangho Provide 20 Women Sewing Machines in Natore
After Training in Natore, 20 Underprivileged Women Got Bashundhara's Sewing Machine
নাটোরে প্রশিক্ষণ শেষে বসুন্ধরার সেলাই মেশিন পেল ২০ অস্বচ্ছল নারী
৪ লক্ষাধিক রোজাদারকে বসুন্ধরার ইফতার
Bashundhara Provides Iftar to Over 4 Lakh People this Ramadan
সুশৃঙ্খলভাবে বায়তুল মোকাররমে চলছে বসুন্ধরার ইফতার
Bashundhara's Iftar is Going on at Baitul Mukarram