All news

’৫০ বছরপূর্তিতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে’

৫০ বছরপূর্তিতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাই স্বামী মুজিববর্ষ, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি কেন্দ্র করে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া হাউজ পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়ার শীর্ষ নির্বাহীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখেন। মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর।

এ সময় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, ভারতের নতুন হাইকমিশনার বিক্রম দোরাই স্বামী ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়ায় প্রথমবার আসায় আমরা আনন্দিত। ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কীভাবে আরো এগিয়ে নেওয়া যায় আমরা তা নিয়ে আগামীতে কাজ করতে পারি।

তিনি বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। আমরা উভয় দেশই পরস্পর সমৃদ্ধ ও সুখী প্রতিবেশী দেশ হিসেবে একে অপরকে দেখতে চাই।

মতবিনিময়কালে আরো উপস্থিত ছিলেন-ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ও কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক ও নিউজটোয়েন্টিফোরের সিইও নঈম নিজাম, ডেইলি সান সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর.কম সম্পাদক জুয়েল মাজহার, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান, নিউজ টোয়েন্টিফোরের হেড অব নিউজ রাহুল রাহা, বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশেষ প্রতিনিধি শাবান মাহমুদ প্রমুখ।

হাইকমিশনার বিক্রম দোরাই স্বামী বলেন, বাংলাদেশে এবছর মুজিববর্ষ উদযাপিত হচ্ছে। একই সঙ্গে আগামী বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হবে। স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তিতে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হবে বলে আমরা আশা করছি। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। এছাড়া আসন্ন বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভার্চ্যুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠানের কার্যক্রম চলছে। এসব কাজের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

দোরাই স্বামী বলেন, বাংলাদেশ ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সহায়তা করলেও বাংলাদেশের ওপর সব চেয়ে প্রভাব পড়ছে। আমরা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের প্রতিবেশী দেশ। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত মানবিক দিক বিবেচনায় রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান চায়।

হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য রয়েছে। আমরা এই বাণিজ্য বাড়াতে চাই। তবে করোনাভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। করোনা পরবর্তী সময়ে আমরা দুই দেশের বাণিজ্য কীভাবে আরো বাড়ানো যায়, করোনার প্রভাব কীভাবে কাটিয়ে ওঠা যায়, আমরা সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছি। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে।

তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ভারত সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেয়। ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে প্রতিবেশী দেশ অগ্রাধিকার পাচ্ছে। ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ঢাকায় এসে বলেছিলেন, ভারতের কাছে প্রতিবেশী প্রথম। আর প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম। আমরা এখনো সেটাকেই বিশ্বাস করি।

তিনি আরো বলেন, দুই দেশের জনগণের মৌলিক কল্যাণকে আমরা অগ্রাধিকার দিতে চাই। কেননা দুই দেশ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বন্ধনের ইতিহাসে আবদ্ধ। একই সঙ্গে ইতিহাস, সভ্যতা, সংস্কৃতির ক্ষেত্রে আমরা ভাগাভাগি করে চলেছি। সেক্ষেত্রে আমাদের করণীয় রয়েছে অনেক।

মতবিনিময় শেষে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাই স্বামী ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া পরিদর্শন করেন।

SOURCE : ঢাকা টাইমস