All news

রিফাইনারির আগে স্বর্ণ রপ্তানি শুরুর আহ্বান বসুন্ধরা চেয়ারম্যানের

রিফাইনারির আগে স্বর্ণ রপ্তানি শুরুর আহ্বান বসুন্ধরা চেয়ারম্যানের

দেশে রিফাইনারির মাধ্যমে স্বর্ণ রপ্তানি শুরুর আগে বাজুসের কারখানার মাধ্যমে রপ্তানি শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। একইসঙ্গে জুয়েলারি শিল্প সমিতিকে আরও শক্তিশালী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।তিনি বলেন, যারা স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করেন তারা সবাই রপ্তানির মাধ্যমে শিল্পপতি হতে পারেন। আপনারা রপ্তানির জন্য জুয়েলারি কারখানা করেন আমি জায়গা দেব। রাজধানীর কেরানীগঞ্জে জুয়েলারি মালিকদের কারখানা করার জন্য ৪০ হাজার স্কয়ার ফুটের একটি জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হবে।সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাজুসের ৫৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বসুন্ধরা চেয়ারম্যান।বসুন্ধরা চেয়ারম্যান বলেন, এখন এক কন্টেইনার তৈরি পোশাক রপ্তানি করলে আয় হয় ২০ হাজার ডলার। আর এক কন্টেইনার স্বর্ণালংকার রপ্তানি করলে আসবে ২০ মিলিয়ন ডলার। গত কয়েক বছর ধরে বাজুস ফেয়ার হচ্ছে তিনদিন। আইসিসিবিতে আগামীতে বাজুস ফেয়ার হবে ৭ দিন। মেলায় অংশ নেওয়া কোনো প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দিতে হবে না।এদিকে, বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে দেশের ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশনের (বাজুস) ৫৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। এ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য ‘সোনায় বিনিয়োগ ভবিষ্যতের সঞ্চয়’।সোমবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান ও বাজুসের সাবেক সভাপতি কাজী সিরাজুল ইসলাম, বাজুসের সাবেক সভাপতি ও উদযাপন কমিটির কো-চেয়ারম্যান ডা. দীলিপ কুমার রায়, উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও বাজুসের সহ-সভাপতি গুলজার আহমেদ ও বাজুসের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজনেস এডিটর রহুল আমিন রাসেল।বাজুসের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখায় ৭ জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে সম্মাননা দেওয়া হয়। সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন সৈয়দ সামসুল আলম, কাজী সিরাজুল ইসলাম, সত্য রঞ্জন ব্রহ্ম, জগদীশ চন্দ্র সরকার, আলাউদ্দিন আহমেদ, খবির উদ্দিন ও আব্দুল লায়েস। তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান।প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশ সেজেছে বর্ণিল সাজে। সোমবার দিনব্যাপী দেশের ৪০ হাজার জুয়েলার্স পরিবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেন।বাজুস সূত্রে জানা গেছে, জুয়েলারি খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৪৪ লাখ মানুষ সম্পৃক্ত। সরকারের নীতি সহায়তা, সঠিক উৎসাহ ও কর প্রণোদনা পেলে এ শিল্প তৈরি পোশাক শিল্পের মতো দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখতে সক্ষম হবে।বাজুস জানায়, ঢাকা শহরে জুয়েলারি ব্যবসা করতে গিয়ে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন অনুভব করে ১৯৬৬ সালের ১৭ জুলাই বাজুস প্রতিষ্ঠা করা হয়। ৫৭ বছর পূর্ণ করে ৫৮’তে পদার্পণ করছে বাজুস। বাজুসের ৫৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার বিকাল ৫টার পর ঢাকা মহানগরীর সকল জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখে সংগঠনটি।

SOURCE : আজকের দর্পণ