All news

বিনা মূল্যে সেবা পেয়ে খুশি রোগী

বসুন্ধরা আই হসপিটালের সহায়তায় চিকিৎসা পেলেন ৬ শতাধিক মানুষ

চোখে সমস্যা নিয়ে এক বছর ধরে চিকিৎসকের কাছে ছুটছেন আয়েশা বেগম, কিন্তু সমাধান হচ্ছিল না। বাড়ির কাছে চোখের ভালো চিকিৎসক আসছেন জেনে ছুটে এসেছেন। বিনা মূল্যে সেবা পেয়ে খুব খুশি তিনি। বসুন্ধরা আই হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আয়োজিত চক্ষুুশিবিরে চিকিৎসা নেন আয়েশা বেগম।
গতকাল মঙ্গলবার দিনভর ওই শিবিরে আয়েশা বেগমের মতো প্রায় ৬০০ জন সেবা নেন। সদর উপজেলার খাকচাইল গ্রামের ফকির মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন এ ক্যাম্পের আয়োজন করে।
ফকির মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন স্কুলে আয়োজিত ক্যাম্পে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মো. সাইফুল ইসলাম, কনসালট্যান্ট ডা. কাজী আদনান ও ক্যাম্প অর্গানাইজার আবু তৈয়বের নেতৃত্বে আটজনের একটি দল চিকিৎসা সেবা দেয়। ফকির মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও গ্রিন ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির এ আয়োজনের সমন্বয় করেন।
ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সুশীল কুমার সরকার, ফকির মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুন নূরসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন এই ক্যাম্পে।
সেবা নেওয়া শামীমা আক্তার বলেন, ‘আমরা গ্রামের মানুষ। ভালো ডাক্তার দেখাতে টাকারও প্রয়োজন হয়। চোখে সমস্যার কারণে অনেকবার ডাক্তার দেখিয়েও সমস্যা দূর হয়নি।
লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে আজ বসুন্ধরা আই ক্যাম্পে এসে চোখের ডাক্তার দেখিয়েছি। বিনা মূল্যে ওষুধও দিয়েছেন তাঁরা।’
ডা. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘চার শতাধিক রোগীর নাম আগে থেকেই লিপিবদ্ধ করা ছিল। বিকেল নাগাদ ৪০ রোগীকে ছানি অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে অনেককে ব্যবস্থাপত্রের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে।
তাঁদের মধ্য থেকে বাছাই করা রোগীদের বিনা মূল্যে অপারেশন করবে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট।’
ফকির মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, ‘গ্রামের সাধারণ মানুষকে আই-সাইট সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে আমাদের এই উদ্যোগ।’

গ্রামের সাধারণ মানুষকে বিনা মূল্যে চোখের চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করে দেওয়ায় বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

SOURCE : কালের কণ্ঠ