ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষ যে এতটা খারাপ যাবে, হয়তো কল্পনা করতে পারেননি সর্মথকরা। যে ক্লাবের ইতিহাস এতটা গর্বের, গত দুটো বছর ধরে তাদের সেই গর্ব ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। কর্তা বনাম ইনভেস্টর লড়াইয়ে চোখের জল ফেলতে হয়েছে সমর্থকদের। মানে মানে আইএসএল শেষ হলেই ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করতে চলেছে শ্রী সিমেন্টস। দেওয়াল লিখন স্পষ্ট, ফলে আগামী মরসুমে দল কোন পথে এগবে, কীভাবে আইএসএল-এ খেলা যাবে তার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই ব্লু প্রিন্ট তৈরি করছিল নীতু সরকারের নেতৃত্বাধীন লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট। এবার নতুন ইনভেস্টারের খোঁজে নিজেদের গোড়ার দিকে নজর দিল ইস্টবেঙ্গল। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আসন্ন মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের ইনভেস্টার বা বড় স্পনসর হিসেবে দেখা যাবে বসুন্ধরা গ্রুপকে। এদিন বাংলাদেশের প্রথম সারির উদ্যোগপতি তথা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান সায়েম সোবহানকে ক্লাব তাঁবুতে সংবর্ধিত করে ইস্টবেঙ্গল। উত্তোরীয় পরিয়ে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় স্মারক। একই সঙ্গে উপহার দেওয়া হয় ক্লাবের জার্সি, সোনার কয়েন, কলকাতার মিষ্টি। আজীবন সদস্য পদ দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানে সায়েম সোবহানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রী সাবরিনা সোবহান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ সভাপতি মহম্মদ ইমরুল হাসান এবং বাংলাদেশের অন্যান্য গণ্যমান্যরা। এ দিনের অনুষ্ঠানের শুরুতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সচিব কল্যাণ মজুমদার আবেগঘন কন্ঠে সবাইকে স্বাগত জানান। সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এর সহ সভাপতি দুজনেই তাঁদের বক্তব্যে দুই বাংলার জনপ্রিয়তার কথা তুলে ধরেন। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার তাঁর বক্তব্যে বলেন, এক সময় দুই বাংলা এক ছিল এবং শিল্প, সাহিত্য, খেলাধুলা এবং জীবনাদর্শে সারা পৃথিবীর সামনে উজ্জ্বল হয়েছিল। কোনও এক অজানা দেওয়ালের কারণে আমাদের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। কিন্তু আমাদের হৃদয়ে বাংলাদেশ সেই একই রকম রয়েছে। আজ সেই হৃদয়ের টানেই দুই বাংলার আবার এক সাথে চলা প্রয়োজন। সোবহান এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাব মিলিত ভাবে দুই বাংলার সমন্বয়ের কাজ করতে পারে। লাল-হলুদের তরফ থেকে পাওয়া সম্মানে অভিভূত সোবহান বলেন, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে নিজের ক্লাব বলেই সবসময় ভেবেছি। তাই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফ থেকে যখন আমন্ত্রণ আসে তখন আর 'না' বলিনি। আর আজকের এই অনুষ্ঠানে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব যেভাবে হৃদয় দিয়ে আমাদের কাছে টেনে নিয়েছেন, আমরাও চাই দুই বাংলার ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ ও সাধারন মানুষ আগামী ভবিষ্যতে আরো কাছাকাছি আসতে পারে। আমরা আন্তরিক ভাবে এই কাজে সচেষ্ট হব। ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তারা ভাল করেই জানেন গত কয়েক বছর ধরে ব্যর্থতা তার সহ্য করবেন না সর্মথকরা। পরের বছর আইএসএলে ভালো কিছু করতে হলে, প্রস্তুতি শুরু করতে হবে এখন থেকেই। সেই কারণেই বাংলাদেশে বসুন্ধরা হয়তো স্পন্সর হতে পারে লাল-হলুদের।
SOURCE : news18 বাংলাসৈয়দপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে গাছের চারা রোপণ
Tree Plantation Initiative by Bashundhara Shuvosangho in Saidpur
উপকূলের অসহায় নারীদের পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ
Bashundhara Group Stands by Vulnerable Women on the Coast
বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে উপকূলীয় দরিদ্র নারীদের প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন প্রদান
Bashundhara Group Provides Training and Sewing Machines to Poor Coastal Women
৫৩ লাখ টাকার সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের
Bashundhara Foundation Distributes Tk 5.3 Million in Interest-Free Loans
বসুন্ধরা গ্রুপের শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছে জাবির ১১৬ জন শিক্ষার্থী
Bashundhara Group Supports 116 JU Students with Scholarships