All news

মানিকগঞ্জে বন্যার্তদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বসুন্ধরা গ্রুপের

মানিকগঞ্জে বন্যার্তদের মাঝে বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্য সহায়তা

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের চলমান কর্মসূচীর আওতায় হরিরামপুর উপজেলার ৪০০ পরিবার পেল খাদ্য সহায়তা। আজ মঙ্গলবার লেছড়াগঞ্জ, সুতালরি ও আজিমনগর ইউনিয়নে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ১০ কেজি খাদ্য বিতরণ করা হয়। এ নিয়ে এবারের বন্যায় বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্য সহায়তা পেল প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার পরিবার।

মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস তিন ইউনিয়নে উপস্থিত থেকে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেন।

তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন, হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) বেল্লাল হোসেন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানরা। 

জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস সাংবাদিকদের বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ যে কোন দুর্যোগেই অসহায়দের পাশে এগিয়ে আসে। সরকারকে সহযোগিতা করে আসছে। করোনা সংকটের মধ্যেও কর্মহীনদের মধ্যে খাদ্যসহ বিভিন্ন ধরণের সহায়তা দিয়েছে।

বন্যার প্রথম থেকেই একইভাবে সহযোগিতা করে আসছে। আগামীতেও বসুন্ধরা গ্রুপ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে তিনি বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান। তিনি অন্যান্যদেরও বসুন্ধরা গ্রুপের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করার আহ্বান জানান।

মানিকগঞ্জে বসুন্ধরা গ্রুপের মানবিক সহায়তার বিষয়টি সার্বিক তত্বাবধায়ন করেন গ্রুপের প্রধান উপদেষ্টা মাহবুব মোর্শেদ হাসান রুনু।

তিনি বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের লক্ষ্যই হচ্ছে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করা। যে কারণে সব ধরণের দুর্যোগে সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছে। এটা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের চিন্তা ও পরিকল্পনার ফসল।

তিনি জানান, বন্য পরিস্থিতিরি উন্নতি হয়ে স্বাভাবিক অবস্থা না আসা পর্যন্ত বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচী চলবে। করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই একই ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

দুটি দুর্যোগকে সমন্বয় করে ত্রাণ কর্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

তিনি আরো জানান, এবারের বন্যায় এ পর্যন্ত মানিকগঞ্জে বসুন্ধরা গ্রুপ প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। রোজার ঈদে দুই হাজার পরিবারকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ সহায়তা। কোরবানির ঈদে পনেরটি গরুর মাংস বিতরণ করা হয়েছে একবারেই দুস্থদের মাঝে। বসুন্ধরা গ্রুপের এই মানবিক কর্মসূচীতে সহায়তার জন্য তিনি মানিকগঞ্জের প্রশাসন, রাজতৈনিক দল ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ধন্যবাদ জানান।

SOURCE : কালের কণ্ঠ

Also Published In