বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড আয়োজক কমিটির সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন দিক থেকে এটি হতে যাচ্ছে দেশের সাংবাদিকতায় সবচেয়ে বড় পুরস্কার। কার হাতে উঠতে যাচ্ছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার অ্যাওয়ার্ড এ নিয়ে মিডিয়া পাড়ায় সৃষ্টি হয়েছে তুমুল আগ্রহ। প্রথমবারের মতো এ আয়োজনে পুরস্কার পাচ্ছেন ১১ জন সাংবাদিক। মুক্তিযুদ্ধ, অপরাধ ও দুর্নীতি, নারী ও শিশু ক্যাটাগরির প্রতিটিতে প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমের সেরা তিনটি প্রতিবেদন করে মোট ৯ জনকে পুরস্কার দেওয়া হবে। অনুসন্ধানী প্রামাণ্যচিত্র ও আলোকচিত্রের জন্য পুরস্কার দেওয়া হবে দুজনকে। প্রত্যেক বিজয়ী পাচ্ছেন আড়াই লাখ টাকা, ক্রেস্ট এবং সনদপত্র।
অন্যদিকে, তৃণমূল সাংবাদিকতায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সারা দেশের ৬৪ জনকে বিশেষ সম্মাননা দেয়া হচ্ছে। তারা প্রত্যেকে পাচ্ছেন নগদ অর্থ, সম্মাননা স্মারক এবং উত্তরীয়। ইতোমধ্যে তারা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় উপস্থিত হয়েছেন। এই প্রবীণ ও গুণী সাংবাদিকদের ঘিরে অন্যরকম ইতিহাসের স্বাক্ষী হওয়ার প্রহর গুণছে আইসিসিবি। পুরো অনুষ্ঠানটি হতে রূপ নিবে প্রবীণ ও নবীন সাংবাদিকদের মিলনমেলায়।
বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রদান উপলক্ষে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করেছে ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেড। স্মরণিকাটি অনুষ্ঠানে পাঠ-উন্মোচন করবেন অতিথিরা। এতে তুলে ধরা হয়েছে ৬৪ জন প্রবীণ ও গুণী সাংবাদিকের সংক্ষিপ্ত জীবনালেখ্য, পুরস্কার পাওয়া ১১ জন সাংবাদিকের পরিচিতি, জুরিবোর্ডের সদস্যদের বিশেষ বক্তব্যসহ ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের অধীনস্ত গণমাধ্যমের প্রকাশিত কিছু বিশেষ প্রতিবেদন।
‘বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। উদ্বোধন করবেন দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম ও ‘বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১’এর জুরিবোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করবেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও চিত্রনায়িকা বুবলি।
আয়োজক কমিটি জানায়, দেশবরেণ্য আটজন গুণী ব্যক্তিত্বের সমন্বয়ে গঠিত জুরিবোর্ড দেশের সেরা অনুসন্ধানী সাংবাদিক নির্বাচিত করেছেন। শুরু থেকেই এ পুরস্কার ঘিরে সাংবাদিকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখতে পেয়েছি। ঢাকা এবং মফস্বলের অনেক সাংবাদিক তাদের সেরা প্রতিবেদনগুলো জমা দিয়েছেন। আর, সেগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করেছেন জুরিবোর্ডের সদস্যরা। এ ছাড়া তৃণমূল সাংবাদিকতায় অবদান রাখা সাংবাদিকদের মধ্যে ৬৪ জন প্রবীণ ও গুণী সাংবাদিককে সম্মাননা দেয়ার মতো মহৎ একটি আয়োজনের অংশীদার হতে পারা অত্যন্ত গৌরবের।
জানতে চাইলে জুরিবোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান বলেন, সম্প্রতি বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় প্রতিযোগিতা আহ্বান করে বড় ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় শ্রেষ্ঠত্ব নির্বাচনের কাজটি ছিল খুবই দুরূহ। কেননা, পুরস্কার পাওয়ার মতো অগণিত প্রতিবেদন জমা পড়েছিল। ফলে সেরা প্রতিবেদনটি বাছাই করতে গিয়ে অনেক হিমশিম খেতে হয়েছে। সবচেয়ে ভাললাগার বিষয়টি ছিল, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় শ্রেষ্ঠত্ব নির্বাচনে আয়োজক কিংবা কোনো দিক থেকে ন্যূনতম প্রভাব ছিল না। শতভাগ নিরপেক্ষতা এবং যৌক্তিক বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে সেরা প্রতিবেদনটি নির্বাচন করেছি।
তিনি আরও বলেন, জুরির দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমি দেখেছি যে এখানে সারা দেশ থেকে সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেছেন। এই পুরস্কার দেওয়ার বিষয়টি এক মহাকর্মযজ্ঞের মাধ্যমে সমাধা হয়েছে। এখানে যোগ্যতাসম্পন্ন একটা জুরিবোর্ড কাজ করেছেন এবং প্রত্যেক জুরি মেম্বার নিজের মূল্যবান মতামত দিয়েছেন। তারপর তাঁরা একসঙ্গে হয়ে আলাপ আলোচনা করেছেন। সবকিছু মিলিয়ে নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গির সাথে এই সাংবাদিকতার পুরস্কার দেওয়ার বিষয়টি তাঁরা চূড়ান্ত করেছেন। এই কার্যক্রমে বসুন্ধরা মিডিয়া হাউজ সংশ্লিষ্ট থেকে দেশের সাংবাদিকতার মানকে উন্নত করার লক্ষে একটি প্রণোদনামূলক প্রচেষ্টা নিয়েছে। এই প্রচেষ্টা পেশাজীবীদের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছে। বস্তুনিষ্ঠ ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা উৎসাহিত করার প্রত্যয়ে এই ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ সাধুবাদ পাওয়ার দাবি রাখে।
জানা গেছে, অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমানের নেতৃত্বে জুরিবোর্ডে ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, সম্প্রচারে আসার অপেক্ষায় থাকা টেলিভিশন চ্যানেল ‘টিভি টুডে’র প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক দেশ রুপান্তর পত্রিকার সম্পাদক অমিত হাবিব, আলোকচিত্রী ও লেখক নাসির আলী মামুন, চলচ্চিত্র শিক্ষক গবেষক ও পরামর্শক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, দেশে বিদেশে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করে ব্যাপক পরিচিতি পাওয়া জুলফিকার আলি মাণিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক শাওন্তী হায়দার।
SOURCE : Dhaka Wave
সৈয়দপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে গাছের চারা রোপণ
Tree Plantation Initiative by Bashundhara Shuvosangho in Saidpur
উপকূলের অসহায় নারীদের পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ
Bashundhara Group Stands by Vulnerable Women on the Coast
বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে উপকূলীয় দরিদ্র নারীদের প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন প্রদান
Bashundhara Group Provides Training and Sewing Machines to Poor Coastal Women
৫৩ লাখ টাকার সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের
Bashundhara Foundation Distributes Tk 5.3 Million in Interest-Free Loans
বসুন্ধরা গ্রুপের শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছে জাবির ১১৬ জন শিক্ষার্থী
Bashundhara Group Supports 116 JU Students with Scholarships