All news

দেশে ফুটবলেও জোয়ার ফিরবে : আনভীর

দেশে ফুটবলেও জোয়ার ফিরবে : আনভীর

শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের ২০২১-২০২৪ এই তিন বছর মেয়াদে ৩০ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন হয়েছে গতকাল। আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ক্লাবের ৮৪ জন সদস্য ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে ৩০ জন পরিচালক নির্বাচন করেছেন। শতভাগ (৮৪ ভোট) ভোট পেয়ে যৌথভাবে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের গভর্নিং বডির সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৩ ভোট পেয়ে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন বিগত কমিটির পরিচালক ও রূপায়ণ গ্রুপের কর্ণধার লিয়াকত আলী খাঁন মুকুল। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ও বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ভোট গণনা শেষে ৩০ জন বিজয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হওয়া সুশৃঙ্খল নির্বাচনে ৩০ পরিচালক পদের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন দ্বিগুণ, অর্থাৎ ৬০ জন। ভোটগ্রহণ চলে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। ৯৮ সদস্যের মধ্যে দুজন মৃত্যুবরণ করেন। বাকি ৯৬ জনের মধ্যে গতকাল ভোট দিয়েছেন ৮৮ জন। এরমধ্যে চারটি ব্যালট বাতিল হয়েছে ৩০-এর কম ভোট দেওয়ায়। বাকি ৮৪ জনের ভোটে ২০১৩ সালের ট্রেবলজয়ী ক্লাবটির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছে। ৩০ পরিচালকের মধ্য থেকেই পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভায় একজন চেয়ারম্যান, একজন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, দুজন ভাইস চেয়ারম্যান, একজন ডাইরেক্টর ইনচার্জ, একজন ডাইরেক্টর স্পোর্টস ও একজন ডাইরেক্টর ফাইনান্স নির্বাচিত করা হবে। গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচন আয়োজনের কারণ হিসেবে সায়েম সোবহান বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আমরা চাই না এই নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠুক। ভোটগ্রহণের পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হয়েছে।’ সায়েম আরও জানান, ক্লাবটিকে ঘিরে নানা পরিকল্পনা করোনা মহামারীর কারণে বাস্তবায়ন করা যায়নি। এরমধ্যে ফুটবলের মতো শক্তিশালী ক্রিকেট দল গঠনের পূর্ব প্রতিশ্রুতি অন্যতম, ‘আমরা ক্রিকেট দল গড়ার ব্যাপারে আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। করোনা মহামারীর কারণে উদ্যোগটি পিছিয়ে গেছে। করোনার কারণে শেখ রাসেলের স্বাভাবিক কার্যক্রমও ব্যাহত হয়েছে। তবে একবার যেহেতু অঙ্গীকার করেছি, এটা হবেই।’ ক্রিকেট দল গড়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি ফুটবলে জোয়ার ফেরার প্রত্যাশাও করেছেন সায়েম সোবহান, ‘বিশ্বে এক নম্বর খেলা হলো ফুটবল। কিন্তু বাংলাদেশের ফুটবল কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। ক্রিকেটে যেমন একটা জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, সেটা ফুটবলেও আসবে। ধাপে ধাপে সবই হবে।’ তিনি এখনই ক্লাবের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সেভাবে কিছু বলতে চাননি। নির্বাচিত পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনা করেই কর্মপরিকল্পনা ঠিক করার কথা বলেন। একই সঙ্গে তিনি সমাজের ধনাঢ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্রীড়া উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বসুন্ধরা গ্রুপের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘বিশ্বের এক নম্বর খেলা হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের ফুটবলটা কেন যেন অবহেলিত। ফুটবলের অনেক বিষয়ে উন্নয়নের সুযোগ আছে। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে আমরা একটা স্পোর্টস কমপ্লেক্স করেছি। বাংলাদেশে এরকম আরও অনেক বড় বড় গ্রুপ আছে। তাদেরও উচিত ফুটবলের সামগ্রিক উন্নয়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা।’ নির্বাচনে অনেক পুরনো মুখের পাশাপাশি বেশ কিছু নতুন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। তবে ক্লাবটির প্রতিষ্ঠা যার হাত ধরে হয়েছিল, সেই বর্ষীয়ান সংগঠক শাহজাহান কবীর নির্বাচনে হেরে গেছেন। ব্যর্থ হয়েছেন আরেক আলোচিত প্রার্থী বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের ডাইরেক্টর ইনচার্জ মহিউদ্দিন আহমেদ মহি। নির্বাচিত ৩০ পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর, নঈম নিজাম, ইমদাদুল হক মিলন, লিয়াকত আলী খাঁন মুকুল, মাকসুদুর রহমান, শাহীন আহমেদ, ফুল মিয়া, হাবিবুর রহমান খান, জাহেদুল হক, আলিমুজ্জামান খান, আল-মারুফ এনায়েত হোসেন, হেদায়েত উল্লাহ, আসাদুর রহমান খান, এসএম জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ গোলাম, ক্যাপ্টেন নাজমুল হক, রফিকুল আলম, শাহাবউদ্দিন টিপু, তারিকুল ইসলাম চৌধুরী, লক্ষ্মণ কুমার দে, ইসমত জামিল আখন্দ, মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন, এসএম হাসান জামান, মোহাম্মদ আবুবকর, সালেহ জামান সেলিম, হামিদুল হক, আবুল কাশেম, খলিলুর রহমান, বেলায়েত হোসেন ব্যাপারী, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

SOURCE : দেশ রূপান্তর