দেশে ক্রমবর্ধমান জ্বালানি গ্যাসের চাহিদা পূরণে শিল্পগ্রুপ বসুন্ধরা বৃহৎ পরিসরে এলএনজি আমদানির জন্য সমুদ্রগামী এলএনজি জাহাজ কিনেছে। এতে তাদের জাহাজ ভাড়া বাবদ বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে। জাহাজটি আগামী কিছুদিনের মধ্যে দেশে এসে পৌঁছাবে। এতে দেশের জ্বালানি খাতে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নৌবাণিজ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী প্রায় ৪৯ হাজার মেট্রিক টনের এলএনজি জাহাজ কিনেছে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেড। এতে এলএনজি গ্যাস ধারণক্ষমতা ৭৮ হাজার সিবিএম; যা মার্শাল আইল্যান্ডের কোম্পানি এভান্স লিমিটেডের মালিকানাধীন একটি এলএনজি জাহাজ। যেটি ২০০৩ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল কাওয়াসাকি শিপইয়ার্ডে। জাহাজটির বসুন্ধরা গ্রুপ নামককরণ করছে ‘বসুন্ধরা চ্যালেঞ্জার’ নামে। তাদের প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া প্রায় শেষের দিকে। সব ঠিক থাকলে আগামী কিছুদিনের মধ্যে জাহাজটি বাংলাদেশে আসবে।
অন্যদিকে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, বেসরকারি খাতে এলএনজি স্থাপনা নির্মাণ, আমদানি ও সরবরাহ নীতিমালা ২০১৯ অনুসারে দেশীয় উদ্যোক্তাদের এলএনজি আমদানির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। উদ্যোক্তারা এলএনজি আমদানি করে নিজেরাই তা বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। সরকার উদ্যোক্তাদের স্বার্থে গ্যাস পাইপলাইন ব্যবহারের সুযোগ দেবে। নির্দিষ্ট পরিমাণ হুইলিং চার্জ পরিশোধ করলে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি এ সুযোগ দেবে। আবার অতিরিক্ত গ্যাস পেট্রোবাংলার নির্ধারিত মূল্যে সরকার কিনতে পারেÑএমন সুযোগ দেওয়ায় অনেক আমদানিকারক উৎসাহিত হচ্ছেন। এর মধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপ নিজস্ব এলএনজি গ্যাস পরিবহনের জন্য জাহাজ কিনছে।
বাংলাদেশি পতাকাবাহী সমুদ্রগামী জাহাজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা জানান, পাঁচ হাজার টনের বেশি ওজনের জাহাজ আমদানির ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধার কারণে গত বছরের সবচেয়ে বেশি সমুদ্রগামী জাহাজ নিবন্ধিত হয়েছে। সরকার যদি আরও সুবিধা দেয়, তাহলের আরও জাহাজ বহরের যুক্ত হবে। কারণ এ খাতে প্রতি বছর সাত বিলিয়ন ডলার বিদেশি শিপিং কোম্পানিগুলো নিয়ে যাচ্ছে।
জ্বালানি খাতসংশ্লিষ্টরা বলেন, দেশের বিদ্যুৎ ও শিল্প খাতে গ্যাসের সংকট ঘোচাতে ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে এলএনজি আমদানি করছে সরকার। এর মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক ২০৩০ সালে ৪০ হাজার মেগাওয়াট ২০৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। আর গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২০৪১ সালে ২১ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৩০ সালে ১১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর জন্য মোট গ্যাসের চাহিদা হবে ২০৪১ সালে ৩০০০ এমএমসিএফডি, যার প্রায় ৫০ শতাংশ নিজস্ব উৎস থেকে এবং বাকি চাহিদা এলএনজি আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হবে।
এছাড়া শিল্প, সার ও আবাসিক বিপুল পরিমাণে গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে উন্নীত করতে হলে সব উন্নয়ন কার্যক্রমের নেপথ্যে থাকবে জ্বালানি এবং জ্বালানির অন্যতম নিয়ামক হবে গ্যাস। তাই গ্যাসের সরবরাহ অবিরত রাখতে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
নৌবাণিজ্য অধিদপ্তর প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন আহমেদ শেয়ার বিজকে বলেন, বিদেশ থেকে আমদানিকৃত এলএনজি গ্যাস পরিবহনে বসুন্ধরা গ্রæপ একটি সমুদ্রগামী জাহাজ কিনেছে। তাদের প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া প্রায় শেষের দিকে। আর এটি হবে দেশের প্রথম দেশি মালিকানায় প্রথম এলএনজি জাহাজ। তিনি আরও বলেন, বসুন্ধরা চ্যালেঞ্জার বাংলাদেশি পতাকাবাহী সমুদ্রগামী জাহাজ পরিচালনায় নতুন মাইলফলক যুক্ত করবে।
উল্লেখ্য, দেশে বেসরকারি খাতে বাণিজ্যিকভাবে প্রথম ১৯৯৯ সালে এলপিজি সরবরাহ শুরু করে বসুন্ধরা গ্রæপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেড। এখন এলপিজি বাজারের ২৫ শতাংশ মার্কেট শেয়ার কিনে শীর্ষে রয়েছে এ ব্যবসায়ী গ্রুপ।
SOURCE : শেয়ার বিজবসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে মেধাবী শিক্ষার্থীকে আর্থিক অনুদান
Financial Grants to Meritorious Students Under the Initiative of Bashundhara Shuvosangho
শহীদ ৫ সাংবাদিকের পরিবারকে কোটি টাকা সহায়তার ঘোষণা দিল বসুন্ধরা
Bashundhara Group Announces Tk 1cr Aid for Slain Journalists’ Families
বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে হোটেল শ্রমিকদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Distributed Winter Clothes Among Hotel Workers
বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের যাত্রা শুরু
Bashundhara Public School and College begins academic journey
বসুন্ধরা আই হসপিটালের সহায়তায় চিকিৎসা পেলেন ৬ শতাধিক মানুষ
Bashundhara Eye Hospital Provides Free Eye Treatment to Around 600 People