দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন আজ এক যুগ পার করল। প্রচার সংখ্যায় শীর্ষস্থান ধরে রেখে দুই যুগে পা রাখল প্রতিষ্ঠানটি। বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজ সোমবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বাংলাদেশ প্রতিদিন কার্যালয় প্রাঙ্গণে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের নিয়ে কেক কাটেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর। বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম ও প্রতিদিন পরিবারের সদস্য ছাড়াও কেক কাটা অনুষ্ঠানে অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, দৈনিক অবজারভার সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের হুইপ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, ঝিনাইদহ-২ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি তাহজিব আলম সিদ্দিকী, দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেসমিনিস্টার শাবান মাহমুদ, জেসিএক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এফবিসিসিআই পরিচালক ইকবাল হোসেন চৌধুরী জুয়েল, সেঞ্চুরি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআই পরিচালক নাসির মজুমদার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ইমদাদুল হক মিলন, কালের কণ্ঠ সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী, ডেইলি সান সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, নির্বাহী সম্পাদক রেজাউল করিম লোটাস, নিউজ টোয়েন্টিফোরের নির্বাহী সম্পাদক রাহুল রাহা। অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন সফলতার সঙ্গে ১২ বছর পূর্ণ করে ১৩ তে পা দেওয়ায় সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। এই পত্রিকা দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক। প্রতিদিন সকালে আমি বাংলাদেশ প্রতিদিন পড়ি, এটা কখনো বাদ যায় না। এই পত্রিকার মুনশিয়ানা ১২ পাতার কাগজে যত খবর পাঠক পায়, অনেক ২০ পাতার খবরের কাগজেও থাকে না। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণে সহযোগী শক্তি হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। একটি পত্রিকা উন্মোচন করতে পারে উদঘাটিত হয়নি এমন বিষয়কে, দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি নিবন্ধ করতে পারে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে। দায়িত্বশীলতার কারণে বাংলাদেশ প্রতিদিন আমজনতার কাগজ হতে পেরেছে। অদম্য গতিতে যুগ যুগ বাংলাদেশ প্রতিদিনের ধারা অব্যাহত থাকবে এই কামনা করি। শুভেচ্ছা বক্তব্যে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর পত্রিকাটি এক যুগ পার করায় বাংলাদেশ প্রতিদিন পরিবারের পুরো টিমকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন সফলতার সঙ্গে এক যুগ অতিক্রম করেছে, দ্বিতীয় যুগও আরও ভালোভাবে অতিক্রম করবে। টিমওয়ার্ক ছাড়া কখনো প্রতিষ্ঠান দাঁড়াতে পারে না। এই সফলতার জন্য বাংলাদেশ প্রতিদিনের সব কর্মীকে ধন্যবাদ জানাই। মির্জা আজম বলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন স্বাধীনতার মাসে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। সব পত্রিকা পড়ার পর বাংলাদেশ প্রতিদিন না পড়লে অতৃপ্তি থেকে যায়, মনে হয় দিনে পত্রিকা পড়াই হয়নি। বাংলাদেশ প্রতিদিন তাদের এ অবস্থান শত বছর বজায় রাখুক সে প্রত্যাশা করি। রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ঘুম থেকে উঠে আমার দিন শুরু হয় বাংলাদেশ প্রতিদিন পড়ে। করোনা মহামারির ঘরবন্দি সময়ে সব খবর পেতাম বাংলাদেশ প্রতিদিন পড়ে। সকাল হলেই শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের হাতে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ প্রতিদিন। দেশের গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে এ পত্রিকা অগ্রগামী ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করি। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, বাংলাদেশে প্রতিদিন আমার পরিবারের মতো। এই প্রতিষ্ঠানেই আমার ভাই পীর হাবিবুর রহমান জীবনের শেষদিন পর্যন্ত নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। এটি গণমানুষের পত্রিকা। সিএনজিচালকের হাতে যেমন বাংলাদেশ প্রতিদিন থাকে, করপোরেট অফিসের কর্মকর্তার হাতেও থাকে। ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, পেশাজীবী সাংবাদিক হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিদিন এক যুগ পার করায় শুভেচ্ছা জানাই। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বাংলাদেশ প্রতিদিন থাকবে এ প্রত্যাশা রাখি। তাহজিব আলম সিদ্দিকী বলেন, তথ্য পাওয়া মানুষের সংবিধান স্বীকৃত অধিকার। মানুষের এ অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। এই পত্রিকা সৃষ্টিশীল, নির্ভীক হওয়ায় জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। নাসির মজুমদার বলেন, এক কাপ কফি আর বাংলাদেশ প্রতিদিন নিয়ে আমার সকাল শুরু হয়। সেই পত্রিকার এক যুগপূর্তিতে শুভেচ্ছা জানাই। ইকবাল হোসেন চৌধুরী জুয়েল বলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন গণমানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া পত্রিকা। এর ১৩ বছরে পদার্পণে শুভেচ্ছা জানাই। সব খবর পাওয়া যায় এ পত্রিকায়। ইমদাদুল হক মিলন বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিন যাত্রা শুরু করেছিল, তা অনেকখানি সার্থক হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিদিন দীর্ঘজীবী হোক। বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম পত্রিকাটির সব পাঠক, কর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সবার সহযোগিতা ও ভালোবাসায় সফলতার সঙ্গে আমরা এক যুগ পার করেছি। তথ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে বার বার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক হিসেবে ঘোষণা দিয়ে আপনি আমাদের সম্মানিত করেছেন। এই করোনা মহামারির সময়েও বাংলাদেশ প্রতিদিন মানুষের মন জয় করে অবস্থান ধরে রেখেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির জনকের আদর্শ বজায় রেখে বাংলাদেশ প্রতিদিন সব শ্রেণির মানুষের কথা বলে। সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে আমরা দ্বিধাবোধ করি না। আমাদের আগামী দিনের পথচলা হবে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নতুন করে এগিয়ে নেওয়া, নতুন করে জাগিয়ে তোলা। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের যুগ্ম সম্পাদক আবু তাহের, উপ-সম্পাদক মাহমুদ হাসান, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামাল মাহমুদ, প্রধান প্রতিবেদক মনজুরুল ইসলাম, বিজ্ঞাপন বিভাগের প্রধান সালাউদ্দিন আহমেদ, সার্কুলেশন বিভাগের প্রধান বিল্লাল হোসেন মন্টু প্রমুখ। বাংলাদেশ প্রতিদিন বসুন্ধরা মিডিয়া লিমিটেডের অন্যতম প্রকাশনা। এটি দেশের সর্বাধিক প্রকাশিত দৈনিক যা ২০১০ সালের ১৫ মার্চ যাত্রা করে।
SOURCE : বাংলাদেশ প্রতিদিননাটোরের ৪০ জন অসচ্ছল নারী পেলো বসুন্ধরা শুভসংঘের কাছ থেকে সেলাই মেশিন
Bashundhara Shuvosongho Give Forty Sewing Machines to Insolvent Women in Natore
নাটোরে ২০ জন অসচ্ছল নারীকে সেলাই মেশিন দিল বসুন্ধরা গ্রুপ
Bashundhara Shuvosangho Provide 20 Women Sewing Machines in Natore
After Training in Natore, 20 Underprivileged Women Got Bashundhara's Sewing Machine
নাটোরে প্রশিক্ষণ শেষে বসুন্ধরার সেলাই মেশিন পেল ২০ অস্বচ্ছল নারী
৪ লক্ষাধিক রোজাদারকে বসুন্ধরার ইফতার
Bashundhara Provides Iftar to Over 4 Lakh People this Ramadan
সুশৃঙ্খলভাবে বায়তুল মোকাররমে চলছে বসুন্ধরার ইফতার
Bashundhara's Iftar is Going on at Baitul Mukarram