All news

সপরিবারে ওমরাহ পালনে যাচ্ছে বিজয়ী হাফেজরা

ওমরাহ পালনে যাচ্ছেন ‘কুরআনের নূর-পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা’র বিজয়ীরা

দেশের বৃহত্ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ সম্প্রতি প্রথমবারের মতো আয়োজন করে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর—পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা’। প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে আটজন শ্রেষ্ঠ কুরআনের হাফেজকে পুরস্কৃত করা হয়।

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর বিজয়ীদের প্রতিযোগিতার পুরস্কারের পাশাপাশি তাঁদের মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের পবিত্র ওমরাহ পালন করানোর ঘোষণা দেন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে শ্রেষ্ঠ এই আট হাফেজ তাঁদের মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন।

তাঁরা ২৫ জনসহ আরো ১০ মুসল্লি আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন।
গতকাল সোমবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ ব্যবসায়ী সমিতির অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির সভাপতি হাজি মো. ইয়াকুব আলী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি গুলজার আহমেদ, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকী আন নদভী, সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

গুলজার আহমেদ বলেন, ‘এখানে সবার ভাগ্য ভালো, তাঁরা তাঁদের সন্তানের সঙ্গে ওমরাহ পালনে যাচ্ছেন।

আমরা তাঁদের সাফল্যে আনন্দিত। বাংলাদেশে এত বড় আয়োজন আর কেউ করেনি।’
প্রতিযোগিতার বিজয়ী হাফেজ মো. জাকারিয়া বলেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি আমার মা-বাবা, পরিবারের সবাইকে নিয়ে ওমরাহ হজে যেতে পারব। বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতায় সেটা সত্যি হচ্ছে।

এ জন্য মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করি এবং বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি প্রত্যাশা করি, ভবিষ্যতে কুরআনের নূর প্রগ্রামটি আরো বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হবে।’
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের উদারতা ও মহানুভবতায় আটজন শ্রেষ্ঠ কুরআনের হাফেজ পরিবারসহ ওমরাহ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন। যাঁরা এ অনুষ্ঠান সফল করতে সহযোগিতা করেছেন তাঁদের ধন্যবাদ।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির সভাপতি মো. ইয়াকুব আলী বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ যা বলে তা বাস্তবায়ন করে।

সারা দেশ থেকে সেরা হাফেজরা তাঁদের পরিবার নিয়ে ওমরাহ করতে যাচ্ছেন। আগামীবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ প্রতিযোগিতা হবে। তখন বিজয়ীর সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে।’

SOURCE : কালের কণ্ঠ