All news

মা-বাবাসহ ওমরাহ পালনে যাচ্ছে ‘কুরআনের নূর’-এর বিজয়ীরা

মা-বাবাসহ ওমরাহ পালনে যাচ্ছে ‘কুরআনের নূর’-এর বিজয়ীরা

দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ প্রথমবারের মতো হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর-পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা গ্রুপ’ আয়োজন করেছিল। সেই প্রতিযোগিতার মধ্যে আটজন শ্রেষ্ঠ কোরআনের হাফেজকে পুরস্কৃত করা হয়। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের ঘোষণা অনুযায়ী শ্রেষ্ঠ হাফেজবৃন্দ তাদের মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালনের সুযোগ পাচ্ছে। এ ছাড়া সামর্থ্যহীন আরো ১০ জন ওমরাহ পালনের সুযোগ পাচ্ছে।

তারা আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হবে। আজ সোমবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ ব্যবসায়ী সমিতির অফিসে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কুরআনের নূর-পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা গ্রুপ আয়োজনের প্রধান সমন্বয়কারী সংবাদকর্মী হায়দার আলী বলেন, ‘আগামী বছর আমাদের এই প্রগ্রাম আরো বড় করে হবে বলে জানানো হয়েছে। আগামী বছর এই প্রগ্রামে যারা অংশ নিয়ে বিজয়ী হবে এমন ১৫ জনকে পরিবার নিয়ে ওমরাহ করার সুযোগ দেওয়া হবে।

এ বছর যে প্রতিযোগিতা হয়েছে এটা জাতীয় প্রতিযোগিতা। আগামী বছর নির্দেশনা আছে, এটা আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মহিবুল্লাহিল বাকি আন নদভী বলেন, ‘হাদিসে আছে, যার মনটা ধনী সেই আসল ধনী। তারা যে বিশাল মহানুভবতার অধিকারী এটা মনে হয় আর বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন নেই।

সার্বিক অনুষ্ঠানটিকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য এবং নিখুঁতভাবে ক্রটিমুক্ত করার জন্য আমরা যেভাবে সবার সহযোগিতা পেয়েছি তা আমাদের মুগ্ধ করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির সভাপতি ইয়াকুব আলী বলেন, ‘আমরা দেখেছি বসুন্ধরা যা বলে তা বাস্তবায়ন করে। বসুন্ধরার এমডি আমাদের সঙ্গে নিয়ে কোরআনের হাফেজদের জন্য জাতীয় পর্যায়ে সর্ববৃহৎ আয়োজনটি করেছেন। এটা ২০২৩-এর সর্ববৃহৎ আয়োজন হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে কুরআনের নূর-পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা গ্রুপ আয়োজনের সমন্বয়কারী সংবাদকর্মী আশিকুর রহমান শ্রাবণ, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির সহসভাপতি গুলজার আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমানসহ কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং পবিত্র ওমরাহ করতে যাওয়া হাফেজগণ উপস্থিত ছিল।

SOURCE : কালের কণ্ঠ