All news

দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার অঙ্গীকার

দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার অঙ্গীকার

দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার অঙ্গীকার নিয়ে ১৫ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন। আগামী ১৫ মার্চ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গতকাল শনিবার থেকে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী আয়োজন। গত রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বাংলাদেশ প্রতিদিন কার্যালয়ে দৈনিকটির সম্পাদক নঈম নিজামকে সঙ্গে নিয়ে কেক কেটে আয়োজনের সূচনা করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর।

সপ্তাহব্যাপী আয়োজনের সূচনালগ্নে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আহমেদ ইব্রাহিম সোবহান, মাগুরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা আজাদ মহীউদ্দীন, কালের কণ্ঠ’র প্রধান সম্পাদক কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, ডেইলি সানের প্রধান সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, সম্পাদক রেজাউল করিম লোটাস, নিউজটোয়েন্টিফোরের নির্বাহী সম্পাদক রাহুল রাহা, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক আবু তাহের প্রমুখ।

১৫ বছরে পদার্পণে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান অতিথির বত্তৃদ্ধতায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা, বাংলাদেশ প্রতিদিন একটি দীর্ঘ সময় ধরে সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে। আমি এই মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পরে কোন সংবাদপত্রের প্রকৃত সার্কুলেশন কত সেটা বের করেছি। আসল সার্কুলেশনেও এক নম্বরে আছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। এটি বিশাল প্রাপ্তি।

কোনো অর্জনের চেয়ে সেটি ধরে রাখা আরো কষ্টসাধ্য। বাংলাদেশ প্রতিদিন সেটি পেরেছে। এ জন্য বসুন্ধরা পরিবার ও বাংলাদেশ প্রতিদিন পরিবারকে অভিনন্দন।’

তথ্য প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, আগামী দিনে বাংলাদেশ প্রতিদিন আরো ভালো করবে এবং নিজেদের সাংবাদিকতার জগতে একটা উদাহরণ হিসেবে তৈরি করবে।

তিনি আরো বলেন, ‘দিনশেষে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ, গণতন্ত্র, অর্থনীতির জন্য আমাদের মিলেমিশে কাজ করতে হবে। কিভাবে গণতন্ত্রকে আরো শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারি, সেই চেষ্টা করতে হবে। সত্যিকার অর্থে আগামীটা ইতিবাচকভাবে শুরু করতে চাই। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আছে। সেই জায়গা থেকে আমাদের দেশ এবং দেশের স্বার্থ সবার আগে দেখতে হবে।’

শুভেচ্ছা বক্তব্যে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, ‘ডলার সংকটসহ নানা কারণে মিডিয়ার জন্য বাংলাদেশে কঠিন সময় যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি সব কিছু আরেকটু গুছিয়ে আনতে। এই মুহূর্তে নিউজপ্রিন্ট আমদানিতে সরকার কিছুটা শুল্কছাড় দিলে সংবাদপত্রগুলো হয়তো টিকে থাকতে পারবে। নতুন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমের মানুষ। তিনি নিশ্চয়ই বিষয়টি বিবেচনা করবেন।’

আওয়ামী লীগ নেতা এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন সাদাকে সাদা বলে, কালোকে কালো বলে। অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে। গণমানুষের সমস্যার কথা তুলে ধরে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সব কলাকুশলী ও শুভানুধ্যায়ীর জন্য শুভকামনা।’

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন ১৫ বছরে পদার্পণ করছে। এর পেছনে যাঁরা কাজ করেছেন, বিশেষ করে বসুন্ধরা গ্রুপ ও সম্পাদক নঈম নিজামকে ধন্যবাদ জানাই। ওয়ান-ইলেভেনের পর সম্পাদক নঈম নিজাম আমাকে উৎসাহিত করেছিলেন কিছু লেখার জন্য। কচুগাছ কাটতে কাটতে মানুষ যেমন ডাকাত হয়, তেমনি আমি একটু একটু করে লিখতে লিখতে অনেক লিখে ফেলেছি। আমার লেখার পেছনে উৎসাহ দিয়েছেন নঈম নিজাম, আর লিখেছি একমাত্র পত্রিকা বাংলাদেশ প্রতিদিনে।’

বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ‘আমি কখনো বাংলাদেশ প্রতিদিনের বর্ষপূর্তিতে আসা মিস করি না। নিজেকে এই পরিবারের সদস্য মনে করি। এ জন্য গর্ববোধ করি। স্কুলে থাকতে ইত্তেফাক না পড়লে ভালো লাগত না। এখন ঘুম থেকে উঠে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকা খুঁজি। বাংলাদেশ প্রতিদিন একমাত্র পত্রিকা, যেটা সব শ্রেণির মানুষ পড়ে। আশা করি আগামী দিনেও বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকবে।’

সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আশা করি, জনপ্রিয় এই দৈনিক আগের মতো ভবিষ্যতেও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করবে। আমরা মনে করি, দেশে বাংলাদেশ প্রতিদিন যে ভূমিকা রেখেছে, আগামী দিনগুলোতেও তা অব্যাহত থাকবে।’

বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম পত্রিকার সব পাঠক, কর্মী ও শুভানুধ্যায়ীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কাগজ হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে ১৪ বছর আগে বাংলাদেশ প্রতিদিনের যাত্রা শুরু। বসুন্ধরা গ্রুপের উৎসাহ ও সহযোগিতায়, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সব স্তরের কর্মীদের আন্তরিক প্রচেষ্টা, হকারদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও পাঠকদের ভালোবাসায় বাংলাদেশ প্রতিদিন আজ দেশের শীর্ষ সংবাদপত্রের জায়গাটি দখল করেছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিদিন সপ্তাহে এক দিন করে লন্ডন ও নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত হয়। দেশ ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমরা দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

SOURCE : কালের কণ্ঠ