বাংলাদেশে জুয়েলারি শিল্পে প্রচুর দক্ষ কর্মী রয়েছে। তাদের কাজে লাগাতে এই শিল্পের প্রসার ঘটাতে হবে। এ জন্য জুয়েলারি শিল্পে সহজ নীতিমালা প্রয়োজন। তাহলে গার্মেন্টের চেয়েও বেশি ভ্যালু অ্যাডেড হতে পারে অর্থনীতিতে।
পাশাপাশি আগামীর ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে জুয়েলারি শিল্প গড়ে উঠবে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) নবরাত্রী হলে জুয়েলারি শিল্পের সবচেয়ে বড় মেলা বাজুস ফেয়ারের দ্বিতীয় দিনের আলোচনাসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘বাংলদেশের জুয়েলারি শিল্প : সম্ভাবনা চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনাসভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক ও গবেষক রাজু আহমেদ।
মূল প্রবন্ধে রাজু আহমেদ বলেন, ‘কয়েক বছর আগের প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর একটি সমীক্ষা করেছিল। সেখানে দেখা গেছে, দেশে স্বর্ণের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৪৫ মেট্রিক টন। আর ২০১৮ সালের স্বর্ণ নীতিমালা যেটা ২০২১ সালে সংশোধন করা হয়েছে সেটার প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশের প্রতিবছর স্বর্ণের বার্ষিক চাহিদা ২০ থেকে ৪০ মেট্রিক টন। অর্থাৎ সরকারি যে হিসাব, তাদের কাছেও সঠিক হিসাব নেই যে বছরে কত টন স্বর্ণ লাগে।
বাজুসের পক্ষে যদি বার্ষিক চাহিদা নিরূপণ করা হয় তাহলে আমাদের পরিকল্পনা করতে সহজ হবে। সঠিক নীতিমালার অভাবে স্বাধীনতার পর থেকে দীর্ঘ সময় দেশে সঠিক পথে স্বর্ণ আমদানি হয়নি। দেশের স্বর্ণ শিল্পের মৌলিক কাঁচামালের মূল উৎস ছিল, পারিবারিক সূত্রে পাওয়া পুরনো স্বর্ণ ও ব্যাগেজ রুলসের আওতায় ব্যক্তিগত পর্যায়ে বিদেশ থেকে আনা স্বর্ণ। এই প্রক্রিয়ার দেশের স্বর্ণের মোট চাহিদার মাত্র ১০ শতাংশ পূরণ করা হয়। অর্থাৎ দেশের স্বর্ণের বড় অংশ অবৈধ বা চোরাচালানের মাধ্যমে জোগান দেওয়া হয় বলে সরকারের ২০১৮ সালের নীতিমালায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
এ অবস্থায় ২০১৮ সালে বৈধ পথে স্বর্ণ আনতে নীতিমালা করা হয়।’
তিনি জানান, সারা বিশ্বে ২০২১ সালে সব রকমের অলংকারের বাজারের মোট আকার ছিল ২৪৯ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার। যার ৪০ শতাংশই স্বর্ণালংকার। ২০২২ সালে এ খাতে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২৬৯ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। প্রতিবছর গড় ৮ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি ধরে ২০৩০ সালে সারা বিশ্বে অলংকার শিল্পের মোট বাজার হবে ৫১৮ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার। বিশ্ব বাজারের ৬০ শতাংশ অংশীদার এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চল। উৎপাদক ও রপ্তানির মধ্যে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বেলজিয়ামসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ও চীন এবং ভারত। আর আমদানির ক্ষেত্রে শীর্ষে আছে সুইজারল্যান্ড, চীন যুক্তরাজ্য, হংকং, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, আরব আমিরাত বেলজিয়াম, জার্মানি ও সিঙ্গাপুর। হাতে তৈরি অলংকারের প্রায় ৮০ শতাংশ বাংলাদেশ ও ভারতে উৎপাদিত হয়। কিন্তু বিশ্ববাজারে অলংকার রপ্তানিতে খুব বেশি ভূমিকা রাখতে পাড়ছে না। চাহিদার প্রায় পুরোটাই রপ্তানি করছে ভারত। ২০২১-২২ অর্থবছরে অলংকার রপ্তানিতে ভারতে আয় ছিল ৩৯ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে শুধু স্বর্ণ থেকে রপ্তানি আয় ছিল ৯ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। ২০২০ সালে স্বর্ণ রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করেছিল ২২ লাখ ২০ হাজার ডলার মাত্র। পুরোটাই রপ্তানি হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ওই বছর স্বর্ণ রপ্তানির তালিকায় বাংলাদেশ ছিল ১৪৬তম দেশ। দেশের রপ্তানি পণ্য থেকে আয় করার মধ্যে স্বর্ণে আয় ছিল ১৮৫তম অবস্থানে। স্বর্ণ আমদানির দিক থেকে বাংলাদেশ ৩৩তম। ২০২০ সালে বাংলাদেশ ৩৯ কোটি ৭০ লাখ ডলারের স্বর্ণ আমদানি করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘জুয়েলারি শিল্প বিকাশে আমাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত। জুয়েলারি শিল্পটাকে যে উচ্চতায় আমরা নিয়ে যেতে চাই, বিশ্ববাজারে নিয়ে যেতে চাই এবং আমাদের দেশীয় বাজার ও বিশাল। কিন্তু এর মধ্যে আমাদের যে কম্পিটিটর সেটাকে নিয়েও আমাদের চিন্তা করতে হবে। যা হচ্ছে ভারত। এ ছাড়া চোরাচালান তথা অন্যান্য বিষয় বাদই দিলাম। চোরাচালানও একটি ঘোষণা ছাড়া ব্যবসা। যখন মানুষ বৈধ পথে না আনতে পারে তখন অবৈধ পথ খুঁজে বেড়ায়। এই শিল্পটাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য দেশে সোনার র ম্যাটেরিয়াল নেই। যে কারণে মাঝে মাঝে এর সংকট সৃষ্টি হয়। আমাদের এখানে যে ম্যাটেরিয়াল প্রয়োজন হয় সেটা যদি আমরা এখানে এনে পরিশোধন করে, সেটা আমরা ব্র্যান্ড এবং কোয়ালিটি মেইনটেইন করে বাজারজাত করতে পারি এটা প্রথম কাজ। তারপর সরকারের স্বার্থ তো আছেই। ট্যাক্স ভ্যাট ইত্যাদি। আমরা যদি এই শিল্পটাকে তাদের (ভারত) পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি তাহলে তাদের চেয়ে কম দামে মার্কেট করতে পারব। এটা অত্যন্ত সূক্ষ্ম শিল্প। এ জন্য একটি কম্প্যাক্ট এরিয়া দরকার। এবং এটা অবশ্যই সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে। সেই নীতিমালাটা আমাদের তৈরি করতে হবে। ৩০০ ফিটের এদিকে করাও সম্ভব। এটা কোনো ব্যাপার না, যদি বসুন্ধরা জোগাড় করে দেয়, আমরা সেখানে করতে পারব। সবাই মিলে একটা নীতিমালা করতে হবে। এটা একটা সুন্দর সম্ভাবনার ক্ষেত্র।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে এটুকু বলতে পারি, আমরা এই শিল্পে নেতিবাচক নই। আমরা ইতিবাচক। এটা একটা বৃহৎ শিল্প। এ জন্য যা যা করণীয় আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে, আমার বিজনেস কমিউনিটি এফবিসিসিআইসহ সবাইকে নিয়ে অতিসত্বর সেখানে ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্সসহ যে জটিলতাগুলো আছে সেগুলো যদি তুলে ধরেন, তাহলে আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআইসহ সবই মিলে বসে আলোচনা করে দ্রুতই একটা পলিসি নির্ধারণ করতে পারব। সমাধান করতে পারব। উদ্যোগ আসলে বিশাল ব্যাপার। আপনারা উদ্যোগ নিয়েছেন, সরকারেরও কান খুলেছে, আমরা শুনতে পাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসবে বক্তব্য রাখেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই ইন্ডাস্ট্রির কথা বলি। কিন্তু আমরা ইন্ডাস্ট্রি কেন করব? ইন্ডাস্ট্রি করার জন্য কিছু নীতি দরকার। যেটা আমাদের সরকার চেষ্টা করছে বানানোর জন্য। এ জন্য আমরা খুশি। কিন্তু এখানে বলা হলো আমরা ভারতের সাথে কিভাবে প্রতিযোগিতা করব? গার্মেন্টে ভারত কি আমাদের আগে যায়নি? ভারত গার্মেন্টে আগে চলে গেছে। আমরা জুয়েলারিতেও পারব। অনেক বড় বড় জুয়েলারি যারা আছে, সেখানে বাংলাদেশের লোকজন কাজ করে। বাংলাদেশের মানুষদের মতো সূক্ষ্ম হাত আর কোথাও নাই। গোল্ডের ব্যবসা যারা করে, তারা নাকি চোরাকারবারি করে। করবে না কেন? দুবাইয়ে গোল্ড আনলে ট্যাক্স ফ্রি। আর বাংলাদেশে হ্যাভি ট্যাক্স, ভ্যাট রাখেন। তাহলে ট্যাক্স ফ্রি করে দেন, তাহলে স্মাগ্লিং হবে না। এটা চাইলেই তো হবে না। সরকারকে আমাদের কিছু কিছু ক্ষেত্রে সহয়তা করতে হবে। এনবিআর, ফিন্যান্স মিনিস্ট্রি আমাদের সহয়তা করতে হবে যে চোরাকারবারি কিভাবে বন্ধ করা যায়?’
তিনি বলেন, ‘এই সেক্টরে (জুয়েলারি খাতে) ৩৪ লক্ষ লোক যুক্ত হয়ে আছে। সরকারের সহযোগিতা যদি ঠিকভাবে পাই, উনারা যদি আমাদের উৎসাহ দেন তাহলে এটা হবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ইন্ডাস্ট্রি। সবাই মনে করে না জানি কত টাকা লাগে, কিন্তু জুয়েলারি ইন্ডাস্ট্রিতে ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেও শুরু করা যেতে পারে। আমরা যে ফ্যাক্টরি তৈরি করছি, সেটাতে আপাতত ছয় হাজার লোক কাজ করবে। কিন্তু আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সেখানে ৩০ হাজার লোক কাজ করতে পারবে। আমরা যদি ছয় হাজার দিয়ে শুরু করে ৩০ হাজারে যেতে পারি তাহলে ৬০ জন লোক দিয়ে শুরু করে ৬০০ জনে যাওয়া সম্ভব।’
উপস্থিত শিল্পমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘উনি এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনসহ এটা-ওটা করে দিয়েছেন। আমাদের এই শিল্পের জন্য একটি নিরাপদ জায়গা দরকার। আমাদের কাছে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ লোক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, তারা বলেন একটা নিরাপদ জায়গা দেন, বসুন্ধরার ভিতরে। কিন্তু বসুন্ধরার ভিতর তো ইন্ডাস্ট্রি করা যাবে না। মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করব ঢাকা মেট্রোপলিটনের আশপাশে একটা জায়গা দেওয়ার জন্য। তিন হাজার বিঘা বা এক হাজার একর জায়গা চাইব। আপনারা যদি আমাদের জায়গা দেন তাহলে দেখবেন এখান থেকে রপ্তানি করা যাবে। এবং এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনে সবাইকে ১০ বছরের জন্য ট্যাক্স ফ্রি দেওয়া হয়। সেই সুবিধা যদি আমাদের দেওয়া হয় তাহলে সব কিছু (জুয়েলারি শিল্পের) বৈধ পথে চলে আসবে। আমাদের আইন যদি সংস্কার না করি, তাহলে কোনো দিনই বাংলাদেশে চোরাচালান বন্ধ হবে না। যে যত বড় বড় কথাই বলি না কেন। আইন শিথিল করেন, ট্যাক্স শিথিল করেন, সব কিছু সোজা হয়ে যাবে। গার্মেন্টে ভ্যালু অ্যাডিশন বেশি নাই, সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৭ শতাংশ ভ্যালু অ্যাডিশন হয়। কিন্তু জুয়েলারিতে ৫০ শতাংশ ভ্যালু অ্যাডিশন করা সম্ভব। এটাতে যদি একটি মনোযোগ দেন। আমাদের ডিজাইনের কোনো অভাব নেই। চারুকলাতে ছেলেমেয়েরা দেখার মতো কাজ করে। এত সুন্দর, নিখুঁত নিখুঁত কাজ করে। কিন্তু আমরা তাদের উৎসাহ দিই না। দেশীয় লোকজনকে কাজে লাগান।’
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা রপ্তানির ৮৩ শতাংশ গার্মেন্ট রপ্তানি করি। বাকি সব পণ্য মিলিয়ে ১৭ শতাংশ। ২০৪১ সালের মধ্যে ৩০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করার যে টার্গেট, সেটা শুধু গার্মেন্ট টেক্সটাইল দিয়ে সম্ভব হবে না। জুয়েলারি শিল্পটা বিশাল বড় সম্ভাবনাময় জায়গা। সেখানে আমরা কাজ করতে পারি। নীতিমালা হয়েছে। চোরাকারবারিসহ বিভিন্নভাবে স্বর্ণ দেশে আসছে। কাঁচামাল আমদানি করা হলে, সেটা থাকবে না, বন্ধ হয়ে যাবে। এটা একটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য সবচেয়ে বড় দরকার।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ অনেক বড় মার্কেট। প্রায় ১৭ কোটি লোকের যে মার্কেট এটা কিন্তু অনেক বড়। এই খাতের উন্নয়নের জন্য যত ধরনের পলিসি সাপোর্ট দরকার, আমি আহ্বান জানাব সরকারের কাছে, সব ধরনের সহায়তা দিতে হবে। এ জন্য যে এখানে প্রচুর কর্মসংস্থান ও ভ্যালু অ্যাডিশনের সুযোগ আছে। আমাদের ওয়ার্ক ফোর্স আছে, স্কিল আছে, তাহলে এটাকে আমরা কেন ব্যবহার করব না? আমি অনুরোধ করব নীতিনির্ধারক যারা আছেন তাদের প্রতি, এটাকে বিভিন্ন ক্লাস্টারে নিয়ে আসার জন্য। কারণ ইন্ডাস্ট্রিগুলো ছোট ছোট বাসাবাড়িতে।’
বাজুসের সাবেক সভাপতি ড. দিলিপ কুমার রায় বলেন, ‘জুয়েলারি শিল্পটা দিন দিন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি যুগোপযোগী নীতিমালা দিয়েছেন। সেই স্বর্ণ নীতিমালা বাস্তবায়নে আমরা আশা এবং ভরসা পেয়েছে বাজুসের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের প্রতি। আমাদের ব্যবসায়ীদের আর বিদেশমুখী হতে হবে না। বসুন্ধরা একটি গোল্ড রিফাইনারি ফ্যাক্টরি স্থাপন করেছে। এই ফ্যাক্টরি যত তাড়াতাড়ি চালু হবে তত দ্রুত আমরা যে কলঙ্কের টিকা নিয়ে আছি, যে জুয়েলারি ব্যবসা মানে চোরাকারবারি, বৈধতা নাই, এগুলো দূর হবে।’
অনুষ্ঠানে বাজুস ও বসুন্ধরা গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
SOURCE : কালের কণ্ঠHospital for Covid-19 Patients at Bashundhara’s ICCB to Open Soon
মীরসরাই এবং কেরানীগঞ্জে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করলো বসুন্ধরা গ্রুপ
বসুন্ধরা গ্রুপ কাপ গলফ টুর্নামেন্ট ২০১৩ গলফারদের উৎসব
Dazzling Finish of Bashundhara Cup Golf Tournament 2013
Bashundhara Group Exporting Tissue to 16 Countries
Bashundhara Group Chairman Stands by Ailing Girl
Bashundhara Group Chairman Ahmed Akbar Sobhan Stands by Sick Tasmia
India Willing Partner in Bangladesh Development
Bashundhara Group Chairman Stands by Ailing Boy Siraj
Ceremony of Bashundhara Cup Golf