অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রদানের ঘোষণা আসার পর থেকেই আলোচনার শীর্ষে রয়েছে। সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামীকাল সোমবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি (আইসিসিবি) বসুন্ধরায় সন্ধ্যা ৭টায় এই আসর বসে যাচ্ছে। এবারই প্রথম এতো বড় পরিসরে সাংবাদিকদের পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠান হচ্ছে। তাই বলা হচ্ছে বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড বাংলাদেশে সাংবাদিকতার ইতিহাসে নতুন যুগের সূচনা করতে যাচ্ছে।
জমকালো এ আয়োজনে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১১ জনকে পুরস্কৃত করা হবে। এর বাইরে সারাদেশে (মফস্বলে) সাংবাদিকতার প্রসারে ভূমিকা রাখায় প্রতিটি জেলা থেকে একজন করে ৬৪ জন গুণী সাংবাদিককে দেওয়া হবে বিশেষ সম্মাননা।
একই সঙ্গে জাতীয় পর্যায় ও সারাদেশের বিপুল পরিমাণ সাংবাদিককে অণুপ্রাণিত করার জন্য এই পুরস্কার হয়ে ওঠতে যাচ্ছে দেশের সাংবাদিকতায় সবচেয়ে বড় পুরস্কার। শেষ পর্যন্ত কারা পাচ্ছেন এই পুরস্কার সেটি নিয়েও চলছে জোর আলোচনা।
জাতীয় পর্যায়ের সেরা ১১ জন সাংবাদিক পুরস্কৃৃত হবেন। মুক্তিযুদ্ধ, অপরাধ ও দুর্নীতি, নারী ও শিশু ক্যাটাগরির প্রতিটিতে প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমের সেরা তিনটি প্রতিবেদন করে মোট ৯ জনকে পুরস্কার দেওয়া হবে। অনুসন্ধানী প্রামাণ্যচিত্র ও আলোকচিত্রের জন্য পুরস্কার দেওয়া হবে দুজনকে। প্রত্যেক বিজয়ী পাচ্ছেন আড়াই লাখ টাকা, ক্রেস্ট এবং সনদপত্র।
অন্যদিকে, তৃণমূল সাংবাদিকতায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সারা দেশের ৬৪ জনকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। তারা প্রত্যেকে পাচ্ছেন নগদ অর্থ, সম্মাননা স্মারক এবং উত্তরীয়। ইতোমধ্যে তারা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় উপস্থিত হয়েছেন। এই প্রবীণ ও গুণী সাংবাদিকদের ঘিরে অন্য রকম ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার প্রহর গুনছে আইসিসিবি। পুরো অনুষ্ঠান রূপ নেবে প্রবীণ ও নবীন সাংবাদিকদের মিলনমেলায়।
বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রদান উপলক্ষে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করেছে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেড। স্মরণিকাটির আজ অনুষ্ঠানে পাঠ-উন্মোচন করবেন অতিথিরা। এতে তুলে ধরা হয়েছে ৬৪ জন প্রবীণ ও গুণী সাংবাদিকের সংক্ষিপ্ত জীবনালেখ্য, পুরস্কার পাওয়া ১১ জন সাংবাদিকের পরিচিতি, জুরি বোর্ডের সদস্যদের বিশেষ বক্তব্যসহ ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের অধীনস্থ গণমাধ্যমের প্রকাশিত কিছু বিশেষ প্রতিবেদন।
‘বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। উদ্বোধন করবেন দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম ও ‘বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১’-এর জুরি বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করবেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও চিত্রনায়িকা বুবলী।
আয়োজক কমিটি জানায়, দেশবরেণ্য আটজন গুণী ব্যক্তিত্বের সমন্বয়ে গঠিত জুরি বোর্ড দেশের সেরা অনুসন্ধানী সাংবাদিক নির্বাচিত করেছে। শুরু থেকেই এ পুরস্কার ঘিরে সাংবাদিকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে। ঢাকা এবং মফস্বলের অনেক সাংবাদিক তাদের সেরা প্রতিবেদনগুলো জমা দিয়েছেন। আর সেগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করেছেন জুরি বোর্ডের সদস্যরা। শতভাগ নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে দেশবরেণ্য সাংবাদিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে জুরি বোর্ড
অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমানের নেতৃত্বে জুরি বোর্ডে ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, সম্প্রচারে আসার অপেক্ষায় থাকা টেলিভিশন চ্যানেল ‘টিভি টুডে’র প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার সম্পাদক অমিত হাবিব, আলোকচিত্রী ও লেখক নাসির আলী মামুন, চলচ্চিত্র শিক্ষক গবেষক ও পরামর্শক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, দেশে-বিদেশে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করে ব্যাপক পরিচিতি পাওয়া জুলফিকার আলি মাণিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাওন্তী হায়দার।
এ প্রসঙ্গে জুরি বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান বলেন, সম্প্রতি বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় প্রতিযোগিতা আহ্বান করে বড় ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় শ্রেষ্ঠত্ব নির্বাচনের কাজটি ছিল খুবই দুরূহ। কেননা, পুরস্কার পাওয়ার মতো অগণিত প্রতিবেদন জমা পড়েছিল। ফলে সেরা প্রতিবেদনটি বাছাই করতে গিয়ে অনেক হিমশিম খেতে হয়েছে। সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয়টি ছিল, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় শ্রেষ্ঠত্ব নির্বাচনে আয়োজক কিংবা কোনো দিক থেকে ন্যূনতম প্রভাব ছিল না। শতভাগ নিরপেক্ষতা এবং যৌক্তিক বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে সেরা প্রতিবেদনটি নির্বাচন করেছি।
তিনি আরো বলেন, জুরির দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমি দেখেছি যে এখানে সারা দেশ থেকে সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেছেন। এই পুরস্কার দেওয়ার বিষয়টি এক মহাকর্মযজ্ঞের মাধ্যমে সমাধা হয়েছে। এখানে যোগ্যতাসম্পন্ন একটা জুরি বোর্ড কাজ করেছে এবং প্রত্যেক জুরি মেম্বার নিজের মূল্যবান মতামত দিয়েছেন। তারপর তাঁরা একসঙ্গে হয়ে আলাপ-আলোচনা করেছেন। সব কিছু মিলিয়ে নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে এই সাংবাদিকতার পুরস্কার দেওয়ার বিষয়টি তাঁরা চূড়ান্ত করেছেন। এই কার্যক্রমে বসুন্ধরা মিডিয়া হাউস সংশ্লিষ্ট থেকে দেশের সাংবাদিকতার মানকে উন্নত করার লক্ষ্যে একটি প্রণোদনামূলক প্রচেষ্টা নিয়েছে। এই প্রচেষ্টা পেশাজীবীদের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছে। বস্তুনিষ্ঠ ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা উৎসাহিত করার প্রত্যয়ে এই ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ সাধুবাদ পাওয়ার দাবি রাখে।
SOURCE : বিজনেস বাংলাদেশকুড়িগ্রামে চর আলোকিত করছে বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল
Bashundhara Shuvosangho School Spreading Light of Education in Kurigram Shoal
বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সুদমুক্ত ঋণ পেলো ৩০৮ জন নারী
Bashundhara Foundation Provides Interest-Free Loans to 308 Women
বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যদের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ
Saplings Distribute Among Bashundhara Shuvosangho Members
পটুয়াখালীতে বসুন্ধরা শুভসংঘের বৃক্ষরোপণ
Bashundhara Shuvosangho Holds Tree-Plantation Campaign in Patuakhali
নাটোরের ৪০ জন অসচ্ছল নারী পেলো বসুন্ধরা শুভসংঘের কাছ থেকে সেলাই মেশিন
Bashundhara Shuvosangho Give Forty Sewing Machines to Insolvent Women in Natore