All news

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনা মূল্যে ৩৪ জনের চোখ অপারেশন

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনা মূল্যে ৩৪ জনের চোখ অপারেশন

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে মাদারীপুর অঞ্চলের গরিব ও দুস্থ ৩৪ জন রোগীর বিনা মূল্যে চোখের অপারেশন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাবরিনা সোবহান রোডে অবস্থিত বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে দিনব্যাপী এই ফ্রি অপারেশন অনুষ্ঠিত হয়। বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন এবং শহিদুর রহমান শাহিনের যৌথ উদ্যোগে এই অপারেশনের আয়োজন করা হয়েছে।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. রুবিনা আক্তারের তত্ত্বাবধানে এই সার্জারিতে অংশ নেন ডা. মজুমদার গোলাম রাব্বি ও ডা. তাসরুবা শাহনাজ।

এবারের সার্জারিতে ২০ জন পুরুষ ও ১৪ জন নারীসহ মোট ৩৪ জন রোগীর চোখ অপারেশন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৩ জনের ছানি ও একজনের নেত্রনালির অপারেশন করা হয়।
চোখের ছানি অপারেশন করতে আসা রমজান আলী শরিফ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিনা মূল্যে চোখের ছানি অপারেশন করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। এখানে খাওয়াদাওয়া ও থাকায় কোনো ধরনের অসুবিধা হচ্ছে না।

ডাক্তার ও নার্সদেরও ব্যবহার খুবই ভালো। এমন ব্যবহার অনেক হাসপাতালেই পাওয়া যায় না।’
একই কথা জানান মাদারীপুরের বাসিন্দা ফয়জুন্নেসা। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘বসুন্ধরা আই হসপিটাল আমাদের অনেক বড় উপকার করেছে।

তারা যেন সারা জীবন মানুষের এমন উপকার করতে পারে। আমরা এখানে শুধু বিনা পয়সায় চোখই অপারেশন করিনি, বিনা মূল্যে থাকা-খাওয়ার সুযোগও পেয়েছি। এরা সব সময় সুখে-শান্তিতে থাকুক। এদের আরো ধন-দৌলত হোক। যেন তারা সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে পারে।
এবারের অপারেশনের বিষয় জানতে চাইলে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ম্যানেজার (এইচ আর অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) মোহাম্মদ আহসান হাবীব বলেন, গরিব, দুস্থ ও অন্ধ রোগীদের চক্ষু চিকিৎসার সাহায্যার্থে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুস্থদের সেবায় অনেক আগে থেকেই এ ধরনের প্রক্রিয়া চলে আসছে। সারা দেশে বিনা মূল্যে এই ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত ক্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে দুই হাজার ৪১৫ জনের বেশি রোগীর বিনা মূল্যে অপারেশন করা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘গত ১৫ মে মাদারীপুর শহরের পৌর এলাকার আমিন উদ্দিন হাওলাদার সড়কের মোড়লবাড়িতে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পে ৫০০ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নেন। তাদের মধ্যে ৬০ জনকে চোখের ছানি, নেত্রনালি ও মাংস বৃদ্ধির কারণে অপরেশনের জন্য নির্বাচিত করা হয়। তারই প্রথম ব্যাচের ৩৪ জন রোগীর অপারেশন করা হচ্ছে।’

SOURCE : কালের কণ্ঠ