All news

বসুন্ধরা গ্রুপের কম্বল পেলেন কুষ্টিয়ার মুক্তিযোদ্ধারা

বসুন্ধরা গ্রুপের কম্বল পেলেন কুষ্টিয়ার মুক্তিযোদ্ধারা

দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের কম্বল উপহার দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে শুভসংঘের তত্ত্বাবধানে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের হলরুমে ১০০ জন মুক্তিযোদ্ধার হাতে শীতের উপহার কম্বল তুলে দেওয়া হয়। বসুন্ধরার নতুন কম্বল উপহার পেয়ে ভীষণ খুশি তাঁরা। কুষ্টিয়া জেলায় ছয় দিনব্যাপী এ কার্যক্রমে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রদত্ত কম্বল সাত হাজার অসহায় মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এর আগে শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জিলা স্কুল মাঠে ৭০০ অসহায়-দরিদ্র মানুষদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আখতার। এ ছাড়া একই দিন সকাল ১১টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের মঙ্গলবাড়িয়া এলাকায় অবস্থিত জামিআ আরাবিয়া আশরাফুল উলূম মাদরাসার শিক্ষার্থীদের হাতে ৪০০টি কম্বল, দুপুর ২টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া গ্রামে ৬০০ জন ও বিকেল ৪টার দিকে সদর উপজেলার বারখাদা মধ্যপাড়া গোরস্তান ময়দানে ২০০ জন, কুষ্টিয়া শহরের ছয় রাস্তার মোড় এলাকায় অবস্থিত শুভসংঘ স্কুলে ২০০ জন এবং আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজে প্রাঙ্গণে ৪০০ জন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খোকসা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মাঠে ৫০০ জন অসহায়-দরিদ্র মানুষদের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়।
 কম্বল বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন, বসুন্ধরা শুভ সংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, কুষ্টিয়া জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক তারিকুল হক তারিক, খোকসা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ফজলুল হক, কুষ্টিয়া জেলা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা পোস্টের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি রাজু আহমেদ, বসুন্ধরা শুভসংঘ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কাকলী খাতুনসহ শুভসংঘের অন্য সদস্যরা। শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশনায় অসহায় দরিদ্র মানুষের হাতে শীতবস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। জেলায় সাত হাজার মানুষকে শীতবস্ত্র দেওয়া হবে। দীর্ঘদিন ধরে বসুন্ধরা গ্রুপ প্রতিবছর শীতের সময় এই কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। আগামীতেও শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রাখবে।’

SOURCE : কালের কণ্ঠ