নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় কম্বল বিতরণ করেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় উপজেলা সদরের মাস্টারপাড়া, দুপুর ১২টায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বাড়ির আশপাশে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে অসহায়, দুস্থ ও শীতার্ত মানুষের মাঝে এ কম্বল বিতরণ করা হয়।
কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কালের কণ্ঠের নিয়ামতপুর উপজেলা প্রতিনিধি মো. তোফাজ্জল হোসেন, বসুন্ধরা গ্রুপের সাইড ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন, ল্যান্ড অফিসার ফজলুর রহমান, বসুন্ধরা শুভসংঘ নিয়ামতপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মো. জামাল হোসেনসহ শুভসংঘের সদস্যরা।
উপস্থিত বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিনিধিরা বলেন, আমরা এখানে ব্যবসা করার জন্য আসিনি। আমরা এসেছি আপনাদের পাশে থাকার জন্য, আপনাদের সহযোগিতা করার জন্য। আপনাদের ভালো রাখার জন্য। বসুন্ধরা গ্রুপ এই এলাকার মানুষদের ভালো রাখতে চায়।
বসুন্ধরা গ্রুপ যে শুধু আজকে এই এলাকায় কম্বল বিতরণ করছে এরকম না। আজকের দিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার কম্বল এবং সারা দেশে যেখানেই মানুষের কষ্ট হচ্ছে সেখানে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ হতে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে।
তারা বলেন, আপনারা বসুন্ধরা সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন না। আজকে কিছু কথা বলি।
করোনার সময় আমাদের চেয়ারম্যান স্যার বললেন, উত্তর বঙ্গের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে কি করবেন? তখন আমরা বললাম, খাদ্য সহায়তা দিতে চাই। তখন আমাদের একটি সংগঠন রয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। যেই সংগঠনে সারাদেশে প্রায় ২০ লাখ ছেলে মেয়ে কাজ করে। তাদের মাধ্যমে আমরা সব শুভ কাজ করাই। আমাদের স্লোগান হচ্ছে ‘শুভকাজে সবার পাশে’।
আমরা ভালো কাজে সবার পাশে থাকতে চাই। করোনার সময় চেয়ারম্যান স্যারের নির্দেশনায় আমরা উত্তর বঙ্গের ১৬টি জেলায় ৪৮ হাজার পরিবারকে একমাসের খাদ্য সহায়তা দিয়েছিলাম। যেখানে ২৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। বাংলাদেশে এমন কোনো শিল্প গ্রুপ নেই যারা সহায়তার জন্য একমাসে এত টাকা খরচ করে। আমরা এখনও প্রতিমাসে ২৩ থেকে ২৪ কোটি টাকা মানুষের সহায়তায় খরচ করছি।
বক্তব্যের শেষে প্রতিনিধিরা আবারও যেকোনো প্রয়োজনে নিয়ামতপুরের বাসিন্দাদের পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ আছে উল্লেখ করে বলেন, আমাদের কাছে এসে একবার শুধু দাঁড়াবেন যে আমার সংসার চলে না, চাকরি নেই, চিকিৎসার অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন, ছেলে-মেয়ের পড়াশোনা করাতে পারছেন না, কেউ খালি হাতে ফিরবেন না। আপনারা বসুন্ধরার সঙ্গে থাকবেন, বসুন্ধরা আপনাদের সঙ্গে থাকবে। আপনাদের সব ভালো মন্দ বসুন্ধরা দেখবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নিয়ামতপুর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠ নিয়ামতপুর উপজেলা প্রতিনিধি বলেন, কঠিন শীতের সময় কম্বল বিতরণ বসুন্ধরা গ্রুপের সঠিক সিদ্ধান্ত। আমরা আশা করব দেশের গরিব-অসহায় সাধারণ মানুষের পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ যেমন অতীতে ছিল, বর্তমানে আছে, ভবিষ্যতেও পাশে থাকবে।
SOURCE : কালের কণ্ঠভাগ্য ফেরানোর হাতিয়ার পেলেন নারীরা
Women Get Tools for Changing Their Fate
নাটোরে ২০ জন অসচ্ছল নারীকে সেলাই মেশিন দিল বসুন্ধরা গ্রুপ
Bashundhara Shuvosangho Provide 20 Women Sewing Machines in Natore
After Training in Natore, 20 Underprivileged Women Got Bashundhara's Sewing Machine
নাটোরে প্রশিক্ষণ শেষে বসুন্ধরার সেলাই মেশিন পেল ২০ অস্বচ্ছল নারী
৪ লক্ষাধিক রোজাদারকে বসুন্ধরার ইফতার
Bashundhara Provides Iftar to Over 4 Lakh People this Ramadan
সুশৃঙ্খলভাবে বায়তুল মোকাররমে চলছে বসুন্ধরার ইফতার
Bashundhara's Iftar is Going on at Baitul Mukarram