All news

টাঙ্গুয়ার হাওরের দুর্গম এলাকায় বসুন্ধরা গ্রুপের কম্বল বিতরণ

টাঙ্গুয়ার হাওরের দুর্গম এলাকায় বসুন্ধরা গ্রুপের কম্বল বিতরণ

শীতের পড়ন্ত বিকেলে টাঙ্গুয়ার হাওরের পাড় ধরে হেঁটে বাড়ি ফিরছেন কয়েক শ নারী পুরুষ। কেউ কেউ ফিরছেন নৌকা করে। সবার হাতেই নতুন রঙিন কম্বল। তাদের-ই একজন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরপাড়ের ৭৫ বছর বয়সী জয়পুর গ্রামের নুর জামাল।

গ্রামের সামনে শরীরে জড়ানো কম্বল দেখে জানতে চাই কোথায় পেয়েছেন এ কম্বল? উত্তর দেন-বসুন্ধরার মালিক পাঠাইছেন। কারা পাইছে বসুন্ধরার কম্বল? তিনি জানান, টাঙ্গুয়ার হাওরপারের কয়েকটি গ্রামের প্রতিটি গরীর পরিবারের একজনকে কম্বল দিছে। লাইজ্জর (অনেক) মানুষকে লাইন ধরাইয়া অনেক কম্বল দিছে। কইছে বসুন্ধরার উপহার।

তিনি হেসে বলেন, ‘অত কষ্ট কইরা বাড়ির ধারো আইয়া কম্বল দেয়। এরা লোক ভালা।’

আজ শনিবার বিকেল টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ টাওয়ার সংলগ্ন জয়পুর গ্রামের মাঠে টাঙ্গুয়ার হাওরপারের ৫০০ দরিদ্র পরিবারের হাতে দেশের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরার শীতের উপহার উপহার কম্বল তুলে দেওয়া হয়েছে। এ আয়োজনে সহযোগিতা করেন বসুন্ধরা শুভসংঘ পরিবার।

 

555

বসুন্ধরার কম্বল পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন অনেকে

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কালের কণ্ঠের সিনিয়র সহ সম্পাদক ও শুভসংঘ পরিচালক জাকারিয়া জামান, স্থানীয় ইউপি সদস্য শিমুল আহমেদ, পরিবেশ কর্মী আহমদ কবীর, বসুন্ধরা শুভসংঘ তাহিরপুরের উপদেষ্টা গোলাম সরোয়ার লিটন, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

ছিলানী তাহিরপুর গ্রামের ৭৮ বছর বয়সী নুরনাহার বেগম বলেন, ‘বাবা আমরা এইখন কেউ কুস্তা দেয় না। বসুন্ধরা কম্বল পাইয়া খুব খুশি অইছি। আল্লাহ তাঁদের ভালো করুক।’

শুভংঘ পরিচালক জাকারিয়া জামান বলেন, ‘সুনামগঞ্জ জেলায় বসুন্ধরা গ্রুপের শীতের উপহার হিসেবে অসহায় মানুষদের মধ্যে ৪ হাজার কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে।’

তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, ‘এই শীতে দুর্গম অঞ্চলে বসুন্ধরা কম্বল পেয়ে হাওরবাসী অনেক খুশি আমরাও খুশি। বসুন্ধরা নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে আসবে হাওরবাসীর মধ্যে আমাদের এই প্রত্যাশা। আমরা বসুন্ধরার এই সকল মানবিক উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’

SOURCE : কালের কণ্ঠ