All news

মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড পেলেন বসুন্ধরা চেয়ারম্যান

মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড পেলেন বসুন্ধরা চেয়ারম্যান

দেশে সামাজিক উন্নয়নে অবদান ও জনহিতকর কাজের জন্য ‘আন্তর্জাতিক মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতার মহাজাতি সদনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাকে এ সম্মাননা দেয়া হয়। মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালথান হাওলা তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের সাবেক রাজ্যপাল ও রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যামল সেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গণশিক্ষা ও সংসদবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিদ্দিক উল্লাহ চৌধুরী, দক্ষিণেশ্বর মন্দির কমিটির সম্পাদক মুরালি ভাই, অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত প্রমুখ। পুরস্কার গ্রহণ করে বসুন্ধরা গ্রুপের কর্ণধার আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, মাদার তেরেসার নামাঙ্কিত এ পুরস্কার পেয়ে আমি গর্বিত। তিনি বলেন, তেরেসার সেবার দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। আজ যে সম্মান পেলাম, সেটি শুধু আমার একার নয়, বরং গোটা বাংলাদেশের। এ পুরস্কার আমাকে দরিদ্র মানুষের জন্য কাজ করতে আরও উৎসাহিত করবে। তিনি বলেন, আরও অনেক আগেই মাদার তেরেসার সন্ত উপাধি পাওয়া উচিত ছিল। বসুন্ধরার চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়নে বসুন্ধরা গ্রুপ যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। ১২ বছর ধরে আমরা সুদহীন ঋণ দিচ্ছি। আমাদের হাসপাতালগুলোয়ও ন্যূনতম অর্থের বিনিময়ে সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। সেখানে আমরা ব্যবসার চিন্তা করি না। মুখ্যমন্ত্রী লালথান হাওলা বলেন, মাদার তেরেসা বিংশ শতকের সেরা মুখ। যারা তাকে কাছ থেকে দেখেছেন, তারা সত্যিই খুব ভাগ্যবান। আর আমরা ভাগ্যবান যে, তিনি ভারতে এসে নিপীড়িত, ক্লিষ্ট, রোগাক্রান্ত মানুষকে সেবা দিয়েছেন। কলকাতার মিশনারিজ অব চ্যারিটি থেকে বিশ্বের ১৩০টি দেশে ৪০০ শাখা তৈরি করে সেবা ছড়িয়ে দিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী সিদ্দিক উল্লাহ চৌধুরী বলেন, যাদের নিয়ে কখনও কেউ ভাবেননি, যারা রাস্তায় পড়ে থাকতেন, রোগে ভুগতেন, সেসব মানুষকে নিজের হাতে সেবা দিয়েছেন মাদার তেরেসা। সাবেক রাজ্যপাল শ্যামল সেন বলেন, মাদার তেরেসা সন্ত হলেও তিনি আমাদের কাছে মাদারই আছেন।