All news

বসুন্ধরার কম্বল পেলেন আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা

বসুন্ধরার কম্বল পেলেন আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা

দেশের সর্ববৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে শুভসংঘের সহায়তায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় দ্বিতীয় দফায় শীতার্ত অসহায়-দরিদ্র মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের পাকুড়িয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা, স্থানীয় অসহায়-দরিদ্র মানুষ ও মাদরাসা শিক্ষার্থীসহ মোট ৫০০ জনের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়। বসুন্ধরার নতুন কম্বল উপহার পেয়ে খুশি তাঁরা। 

কম্বল বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন, দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওবায়দুল্লাহ, বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, কুষ্টিয়া জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক তারিকুল হক তারিক, প্রাগপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মুকুল কুষ্টিয়া জেলা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহমেদ, বসুন্ধরা শুভসংঘ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কাকলী খাতুনসহ শুভসংঘের সদস্যরা।

এর আগে গত শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জিলা স্কুল মাঠে ৭০০ অসহায়-দরিদ্র মানুষের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আখতার। এ ছাড়া একই দিন বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের মঙ্গলবাড়িয়া এলাকায় অবস্থিত জামিআ আরাবিয়া আশরাফুল উলূম মাদরাসার শিক্ষার্থীদের হাতে ৪০০টি কম্বল, দুপুর ২টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া গ্রামে ৬০০ জন ও বিকেল ৪টার দিকে সদর উপজেলার বারখাদা মধ্যপাড়া ঈদগাহ ময়দানে ২০০ জন, কুষ্টিয়া শহরের ছয় রাস্তার মোড় এলাকায় অবস্থিত শুভসংঘ স্কুলে ২০০ জন এবং গত শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে ৪০০ জন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খোকসা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মাঠে খোকসা উপজেলার ১০০ জন মুক্তিযোদ্ধা এবং ৫০০ জন হতদরিদ্রের মাঝে, এরপর দুপুর ১২টার দিকে খোকসা উপজেলার সোমসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ৬০০ জন, দুপুর ২টার দিকে কুমারখালী উপজেলার নগর কয়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ৪০০ জন। এরপর রবিবার সকালে মিরপুর উপজেলার কবরবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ৫০০ জন, শহরের ছিন্নমুল মানুষের মাঝে ১০০ জন এবং আজ সোমবার সকাল ৭টায় শহরের পত্রিকা বিক্রেতাদের (হকার) মাঝে ১০০ কম্বল বিতরণ করা হয় এবং বেলা ১০টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা এলাকায় নুরুজ্জামান বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজে মাঠে ৫০০ জন অসহায়-দরিদ্র মানুষকে কম্বল দেওয়া হয়।
কুষ্টিয়া জেলায় ছয় দিনব্যাপী এ কার্যক্রমে এখন পযর্ন্ত ৬০০০ কম্বল বিতরণ করা হল।

বসুন্ধরা গ্রুপের প্রদত্ত আরো ১০০০ কম্বল অসহায় মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
 কনকনে ঠাণ্ডায় কুষ্টিয়ার অসহায় হতদরিদ্র মানুষ কম্বল পেয়ে মহাখুশি হয়েছেন। তারা বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ। অর্থের অভাবে কম্বল কিনতে পারিনি।
শীতে খুব কষ্টে আছি। কম্বল পেয়ে আমাদের অনেক উপকার হলো। বসুন্ধরা গ্রুপের কম্বল পেয়ে খুব খুশি লাগছে। আমরা মহাখুশি। দোয়া করি, আল্লাহ বসুন্ধরা গ্রুপের মালিককে সুখে শান্তিতে রাখুক’।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওবায়দুল্লাহ বলেন, ‘দেশের সর্ববৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ দরিদ্র অসহায় মানুষের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে। কনকনে শীতে দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করছেন। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা এ ধরনের ভালো কাজ করে থাকেন। অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করেন। এই মহতী উদ্যোগের কারণে দরিদ্ররা উপকৃত হচ্ছে। বসুন্ধরা গ্রুপের মতো সমাজের বিত্তবানদেরও নিজ নিজ অবস্থান থেকে হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। মহতী উদ্যোগের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি’।
 শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশনায় অসহায় দরিদ্র মানুষের হাতে শীতবস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। জেলায় সাত হাজার মানুষকে শীতবস্ত্র দেওয়া হবে। দীর্ঘদিন ধরে বসুন্ধরা গ্রুপ প্রতিবছর শীতের সময় এই কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। আগামীতেও শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রাখা হবে’।

SOURCE : কালের কণ্ঠ