নান্দনিক ক্যাম্পাস, সামনে সবুজ ঘাসে মোড়ানো সুবিশাল খেলার মাঠ। সুপ্রশস্ত সাত তলা ভবনে গোছানো অত্যাধুনিক শ্রেণিকক্ষ, লাইব্রেরি, ক্যাফেটেরিয়া- সৃজনশীলতা বিকাশে রয়েছে নানামুখী আয়োজন।
স্কুল লাগোয়া বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে উঁকি দিচ্ছে সুইমিংপুলের স্বচ্ছ নীল পানি। এর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের জন্য সেখানে আরও ২০ রকমের প্রচলিত খেলার সুযোগ থাকছে।
বিশ্বমানের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার অবারিত সুযোগ নিয়ে আগামী বছরের ১ জানুয়ারি যাত্রা করছে বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এন ব্লকে ১০ বিঘা জমির ওপর আধুনিক স্থাপত্যশিল্পের ছোঁয়ায় গড়ে উঠেছে সাত তলা স্কুল ক্যাম্পাস। জাতীয় শিক্ষাক্রমের বাংলা ও ইংলিশ ভার্সনে স্কুলে নার্সারি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাকার্যক্রম চালু হচ্ছে। এ স্কুলের কারিকুলাম এমনভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে যেন শিক্ষার্থীদের প্রতিভার বিকাশ ঘটে। এতে তারা আধুনিক জীবনের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের বাধা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে এবং ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের জন্য দক্ষ হয়ে গড়ে উঠবে।
বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আনিছুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘স্কুলে শিক্ষার মান উন্নত করার পাশাপাশি খেলাধুলা, মূল্যবোধ, নৈতিকতা বিকাশে জোর দিয়ে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পড়াশোনায় উন্নত বিশ্বের স্কুল থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্বমানের শিখন পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। এ স্কুলের বিশেষত্ব পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার সব ধরনের আয়োজন থাকছে। ঢাকা শহরে মাঠের অভাবে ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করতে পারে না। বসুন্ধরা স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে প্রচলিত সব ধরনের খেলাধুলার সুযোগ থাকছে। সুইমিংপুলে সাঁতার শেখার জন্য থাকছেন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক। এ জায়গায় অনন্য এ প্রতিষ্ঠান। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী বছরের ১ জানুয়ারি স্কুলে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আমরা শিশুদের পড়াশোনার পাশাপাশি সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করছি। পুরো স্কুল ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছেলেমেয়েরা স্কুলবাসে ওঠার এবং নামার সময় বাবা-মায়ের কাছে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বার্তা পৌঁছে যাবে। ’
স্কুলসূত্রে জানা যায়, বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যাধুনিক ও নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করেছে। ভবনের দুই পাশ আর মাঝখান মিলিয়ে তিনটি করিডর রয়েছে। এ ছাড়া চারপাশে রয়েছে খোলা বারান্দা এবং লিফটের সুবিধা। এতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারবেন। পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা রয়েছে শ্রেণিকক্ষসহ পুরো ক্যাম্পাসে।
সরেজমিন স্কুল ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, সুপ্রশস্ত গোলাকার সিঁড়ি উঠে গেছে উচ্চতার শিখর স্পর্শ করতে। স্কুলটিকে এমনভাবে সাজানো হয়েছে মনে হয় এক বিশ্বজগৎ। অঙ্কনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে বাবা-মায়ের হাত ধরে প্রথম স্কুলে আসা ছোট্ট শিশুটির দুরন্ত শৈশব, উচ্ছলতায় ভরা কৈশোর পেরিয়ে তারুণ্যের উদ্দীপনায় কাঙ্ক্ষিতলক্ষ্যে পৌঁছে যাওয়ার গল্প। এখানে হাত বাড়ালেই শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অন্বেষণ করে আলোকিত মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারবে। স্কুলে প্রবেশ করার জন্য শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল আইডি কার্ড ব্যবহার করতে হবে। এ কার্ড ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা বাস সার্ভিস, ক্যাফেটেরিয়া এমনকি টিউশন ফি পর্যন্ত দিতে পারবে। কার্ড ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের স্কুল প্রাঙ্গণ ত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে। ক্যাশলেস লেনদেনে ভূমিকা রাখবে এ ডিজিটাল আইডি কার্ড। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সখ্য গড়ে তুলতে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। ইন্টারেকটিভ লার্নিং প্ল্যাটফরম, অনলাইন রিসোর্স এবং ডেটাবেজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিশ্বব্যাপী তথ্যের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে পারবে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিসর বিস্তৃত হবে এবং তারা আরও বেশি দক্ষ হতে পারবে।
জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি শ্রেণিকক্ষের আয়তন ১ হাজার বর্গফুটের মতো। শ্রেণিকক্ষগুলো দুই সারিতে তৈরি করা হয়েছে। এখানে প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ বিশেষভাবে তৈরি করা, যা শিক্ষার্থীদের নিত্যনতুন বিষয় নিয়ে গভীরভাবে শেখার সুযোগ করে দেবে। প্রতিটি শ্রেণির চারটি শাখাকে ভিন্ন ভিন্ন রং নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এ রং বিভিন্ন মূল্যবোধের প্রতীক, যা শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে প্রতিফলন ঘটাবে। যেমন নীল রং দিয়ে উচ্চাকাক্সক্ষা, সবুজ রং দিয়ে শান্তি, হলুদ রং দিয়ে আত্মবিশ্বাস, কমলা রং দিয়ে সংকল্প বোঝানো হয়েছে। স্কুলের প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে সাজানো এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। শ্রেণিকক্ষে স্মার্ট বোর্ড, প্রজেক্টর রয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা সহজেই আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, খেলাধুলা ও শারীরিক চর্চা শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক বিকাশ এবং উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।
এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন খেলার সুযোগ রাখা হয়েছে। যেমন ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, কাবাডি, সাঁতার ইত্যাদি। স্বনামধন্য প্রশিক্ষক দিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে স্কুল মাঠের গণ্ডি পেরিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার জগতে নিজেদের মেলে ধরতে পারবে শিক্ষার্থীরা। শিশুদের প্রতিভা বিকাশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গৌরবান্বিত হবে বাংলাদেশ।
স্কুলের কারিকুলাম বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আনিছুর রহমান বলেন, বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের কারিকুলাম খুবই সংগঠিত ও ভারসাম্যপূর্ণ। এতে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য বিষয়বস্তুর বৈচিত্র্য এবং গভীরতা নিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞানসহ নানা বিষয়ের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিতে সৃজনশীল এবং ব্যবহারিক শিক্ষার সুযোগও রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বাড়াতে নাচ, গান, নাটক, অঙ্কনের মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন ক্লাব রয়েছে যাতে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে নিজেদের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারবে। প্রতিটি ক্লাবের জন্য রয়েছে আলাদা স্টুডিও। এজন্য স্কুলে রয়েছে ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাব। শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে থাকছেন অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ।
জানা যায়, বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাব। তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে যেন শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের তৈরি করতে পারে। কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখানো জ্ঞান। বিশেষভাবে প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও কোডিং শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হবে। অত্যাধুনিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি, ম্যাথ ল্যাবরেটরি রয়েছে। এ দুটি ল্যাবরেটরি শিক্ষার্থীদের শেখার প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। শিক্ষার্থীদের পাঠাভ্যাস বাড়াতে তৈরি করা হয়েছে অত্যাধুনিক লাইব্রেরি। লাইব্রেরিতে ছোটদের জন্য আলাদা বইয়ের স্বর্গরাজ্য তৈরি করা হয়েছে, যেন তারা বই পড়তে আগ্রহী হয়ে ওঠে। এ ছাড়া ই-লাইব্রেরিও সংযুক্ত করা হয়েছে। আরও রয়েছে মাল্টিপারপাস হলরুম, গ্যালারি এবং আধুনিক ক্যাফেটেরিয়া।

বসুন্ধরার শিক্ষাভুবনে স্বাগত
আহমেদ আকবর সোবহান
চেয়ারম্যান, বসুন্ধরা গ্রুপ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীর ব্যক্তিত্ব গঠনের মূল জায়গা। আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তব্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধ ও নৈতিকতা সঞ্চালনের মাধ্যমে তাদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং অনুসন্ধানী মনকে প্রণোদনা দিয়ে তাতে অদম্য জ্ঞানস্পৃহা জাগিয়ে রাখা। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আবেগ এবং মানসিক-শারীরিক বিকাশে অবদান রাখাটাও মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাজ।
‘স্বপ্ন দেখ। উন্নত হও। অর্জন করো। ’ এ আদর্শ ধারণ করে বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজকে এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেখানে ছেলেমেয়েরা শুধু পাঠ্যপুস্তক থেকেই শিখতে আসবে না, এখানে এমন সব সুযোগসুবিধা পাবে যা থেকে শিক্ষার্থীরা চারপাশের বিশ্ব সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণাপুষ্ট হবে। এখানে তারা সমসাময়িক বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে পারবে। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে সক্ষম হবে আর বিশ্বময় সংযুক্ত হওয়ার ভাষাও রপ্ত করতে পারবে।
অধিকন্তু, এখানে বহুমাত্রিক প্ল্যাটফরম রয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধ গঠন, আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা, সমানুভূতি এবং আত্মসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড যেমন কমিউনিটি-ভিত্তিক বিভিন্ন উদ্যোগ ও বহুবিধ ক্লাবে যুক্ত হয়ে নিজেদের বিকশিত করবে। আমাদের আধুনিক শিক্ষাক্রম এমনভাবে সাজানো হয়েছে যা অনুসরণ করে ছেলেমেয়েরা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে বেড়ে উঠবে, বৈশ্বিক নাগরিক হবে এবং ভবিষ্যৎকে জয় করার জন্য প্রস্তুত থাকবে।
শিক্ষার্থীদের শারীরিক বিকাশের জন্য আমরা সাঁতার, ফুটবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবলসহ বহুবিধ খেলাধুলার ব্যবস্থা করেছি। ক্যাম্পাসের কাছেই আমাদের সর্বাধুনিক স্পোর্টস কমপ্লেক্স, যেখানে রয়েছে খেলাধুলার সব উপকরণ ও ব্যবস্থা।
আমাদের রয়েছে নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকমণ্ডলী, যাঁরা শিক্ষার্থীদের আবেগীয় ও মনস্তাত্ত্বিক প্রয়োজনের বিষয়ে খুবই সংবেদনশীল। তাঁরা পঠন ও পাঠনকে শিক্ষার্থীদের কাছে খুবই উপভোগ্য করে তুলবেন। অত্যন্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই শিক্ষকরা ছেলেমেয়েদের সৃজনশীলতায় উদ্বুদ্ধ করেন এবং তাদের ভিন্নভাবে চিন্তা করতে সহায়তা করেন। আপনার সন্তানের বুদ্ধিবৃত্তিক, শারীরিক, আবেগীয় ও মানসিক বিকাশের যেসব সুযোগ রয়েছে তা গ্রহণ করার জন্য আমরা বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে আপনাকে স্বাগত জানাই। শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক কল্যাণ, তাদের উন্নতি ও আগামীর নেতৃত্ব হিসেবে গড়ার জন্য শিক্ষার একটি বাতাবরণ তৈরিতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।

সৃজনশীলতায় অনন্য হবে এ প্রতিষ্ঠান
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আনিছুর রহমান
অধ্যক্ষ, বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ
বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে সার্বিক কার্যক্রম দক্ষ, অভিজ্ঞ ও যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকগণ পরিচালনা করবেন। এসব সম্মানিত শিক্ষক তাঁদের ব্যক্তিগত মেধা, প্রজ্ঞা ও মননশীলতা দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যথোপযুক্ত শিক্ষা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বসুন্ধরা গ্রুপ একটি বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী, যারা দেশের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে। ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড ছাড়াও সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ করে শিক্ষা ও খেলাধুলার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত আগ্রহে বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। একটি বিশ্বমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমাকে এ মহৎ উদ্যোগে অংশগ্রহণ করার সুযোগ প্রদানের জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। বর্তমান চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে প্রযুক্তিবিদ্যায় সমৃদ্ধ প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে যথোপযুক্ত শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা অপরিহার্য। বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এ উদ্দেশ্যকে বিবেচনা করে সার্বিক শিক্ষাক্রম এবং আনুষঙ্গিক সুযোগসুবিধা সৃষ্টি করেছে। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সফলতার পাশাপাশি সৃজনশীলতা, উদ্ভাবনী চিন্তা, নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ সৃষ্টিসহ নৈতিকতাসম্পন্ন ও প্রযুক্তিতে দক্ষ একজন বিশ্বমানের নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এসব লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগসুবিধাসংবলিত নান্দনিক একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে, যেখানে সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ও প্রযুক্তিনির্ভর ক্লাসরুম, আধুনিক ল্যাবরেটরি, লাইব্রেরি (ই-লাইব্রেরিসহ), সহশিক্ষা কার্যক্রমের জন্য পৃথক স্টুডিও সুবিধা আছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা সংগীত, নাটক, বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা ও বিভিন্ন ক্লাব কার্যক্রমের মাধ্যমে সৃজনশীলতা বিকাশের সুযোগ পাবে। শিক্ষার্থীর শারীরিক, মানসিক ও নেতৃত্ব বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত খেলাধুলার সুযোগ রয়েছে। প্রত্যেক শিক্ষার্থী নিজ নিজ আগ্রহের খেলায় এবং বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি সৎ, নৈতিকতাবোধ ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রমের পরিকল্পনা করা হয়েছে। বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে সার্বিক কার্যক্রম দক্ষ, অভিজ্ঞ ও যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকগণ পরিচালনা করবেন। এসব সম্মানিত শিক্ষক তাঁদের ব্যক্তিগত মেধা, প্রজ্ঞা ও মননশীলতা দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যথোপযুক্ত শিক্ষা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে শারীরিক ও প্রযুক্তিনির্ভর নিরাপত্তা এবং নিরাপদে যাতায়াতের জন্য নিজস্ব যানবাহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা, ক্যাফেটেরিয়াসহ আধুনিক সুবিধাদির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সবাইকে আধুনিক সুযোগসুবিধাসংবলিত নান্দনিক এ স্কুল পরিদর্শন করার আহ্বান জানাচ্ছি এবং সবার মঙ্গল কামনা করছি।
SOURCE : Banglanews24অভয়নগরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ২০ অসচ্ছল নারীকে সেলাই মেশিন বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Distributes Sewing Machines to 20 Underprivileged Women in Abhaynagar
পাবনায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Distributes Blankets in Pabna
টঙ্গীতে আগুনে নিহত ৩ ফায়ার সার্ভিস কর্মীর পরিবারের পাশে সায়েম সোবহান আনভীর, চেয়ারম্যান এবিজি
Chairman of ABG Sayem Sobhan Anvir Stands with Families of Firefighters who Lost their Lives in The Tongi Fire
বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ, সচ্ছলতার স্বপ্ন ২ শতাধিক নারীর
Bashundhara Foundation’s Interest-Free Loans Bring the Dream of Prosperity to Over 200 Women
বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে চরফ্যাশনে সেলাই মেশিন বিতরণ
Bashundhara Shuvashangha Distributes Sewing Machines in Charfassion