মা-বাবাকে নিয়ে পবিত্র ওমরাহ হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছে ‘কুরআনের নূর-পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা গ্রুপ’ প্রতিযোগিতার সেরা আট শিশু হাফেজ। গতকাল সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে তাদের বহনকারী ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে তাদের অভ্যর্থনা জানান বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানিক, সমাজকল্যাণ সম্পাদক নাজমুল হুদা ও বসুন্ধরা গ্রুপের ওমরাহ-বিষয়ক সমন্বয়ক আমির হোসেন মিয়া। মিজানুর রহমান মানিক বলেন, দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ চলতি বছর দেশে প্রথমবারের মতো হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর-পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা গ্রুপ’ আয়োজন করে। এ প্রতিযোগিতায় সারা দেশ থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী ১০ হাজারের বেশি হাফেজ অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতার সেরা আটজনকে পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ, বিশেষ সম্মাননা ও সনদপত্র দেওয়া হয়। মঞ্চে পুরস্কারের পাশাপাশি সেরা হাফেজ ও তাদের পরিবারের সদস্যদের পবিত্র ওমরাহ হজ পালন করানোর ঘোষণা দেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ অক্টোবর আটজন বিজয়ী এবং তাদের পরিবারের সদস্যসহ মোট ২৫ জন ওমরাহ পালনের উদ্দেশে রওনা হন। ওইদিন হাফেজদের পরিবারের সঙ্গে ওমরাহ পালনে যান সামর্থ্যহীন আরও ১০ জন। তারাও গতকাল দেশে ফিরেছেন। তাদের এ সুযোগ করে দিয়েছেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা, বাজুস প্রেসিডেন্ট ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর। তিনি ৩০০ সামর্থ্যহীন ব্যক্তিকে ওমরাহ হজ করানোর ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় বেশ কয়েকটি কাফেলা হজ পালন শেষে ফিরেছে। গতকাল ফিরলেন আরও ১০ জন।
গতকাল বিমানবন্দরে কথা হয় ‘কুরআনের নূর-পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা গ্রুপ’-এর বিজয়ীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। এ সময় প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী মো. শাহরিয়ার নাফিস সালমানের বাবা মোশাররফ হোসেনের কোলে ঘুমিয়ে ছিল আড়াই বছরের শিশু নোভা। মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বাচ্চা মেয়েকে রেখে যাওয়া সম্ভব ছিল না। বসুন্ধরা গ্রুপ তাকেও পবিত্র কাবাঘর দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। সবকিছুর জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য অন্তর থেকে দোয়া করি। আল্লাহ যেন উনাদের আরও বেশি বেশি ইসলামের খেদমত করার তৌফিক দেন। আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, আমার ছেলে যেন বড় আলেম হয়ে সারা বিশ্বে দীনের খেদমত করতে পারে।’
নোভার মতো বাবা, মা ও ভাইয়ের সঙ্গে নবীর দেশ সৌদি আরব ঘুরে এসেছে সাড়ে তিন বছরের মুনিবা মেহজাবিন। সে খুদে হাফেজ বশীর আহমদের বোন। এদিকে সৌদি আরব থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের জন্য বিভিন্ন উপহার কিনে এনেছে শিশু হাফেজরা। উপহার হিসেবে জায়নামাজ, আতর ও খুরমা খেজুর নিয়ে এসেছে সিলেটের শিশু হাফেজ আবু তালহা। সে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলে, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডি স্যারের সহযোগিতায় পরিবার নিয়ে নবীর দেশে যেতে পেরেছি। এ আনন্দ বলে বোঝানোর মতো না। উনারা খুব ভালো মানুষ। তাই উপহার হিসেবে এগুলো কিনেছি। আল্লাহর কাছে উনাদের নেক হায়াতের জন্য দোয়া করি।’
SOURCE : বাংলাদেশ প্রতিদিনবসুন্ধরা গ্রুপের দুই কোম্পানিকে সম্মাননা মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের
Bashundhara Group’s Units Recognised as Highest Revenue Contributors to Mongla Port
হোমনায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ
Bashundhara Foundation Distributes Interest-Free Loans in Homna
বসুন্ধরার উদ্যোগে বিনা মূল্যে চিকিৎসা পেলেন ৫ শতাধিক রোগী
কুষ্টিয়ায় বসুন্ধরা আই হসপিটালের সেবা পেলেন ১২,৫০০ মানুষ
Bashundhara Eye Hospital Provide Free Eye Treatment to 12,500 People in Kushtia
সিলেটে বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Distributes Sewing Machines in Sylhet
বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় শত বাধা পেরিয়ে সফল তারা