জুলাই বিপ্লবে শহীদ পাঁচ সাংবাদিক পরিবারের দায়িত্ব নিল বসুন্ধরা গ্রুপ। তাঁদের আগামী দিনের পথচলা সহজ করতে ১ কোটি টাকা সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন গ্রুপটির চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দৈনিক কালের কণ্ঠের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন। এ সময় শহীদ সাংবাদিকদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে শহীদ প্রত্যেক পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে সহায়তা ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। এরপর ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের কনফারেন্স রুমে সবাইকে নিয়ে কেক কেটে দৈনিকটির নতুন বছরে পদার্পণের আনুষ্ঠানিক শুভসূচনা করেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান। এ সময় বর্ষীয়ান সাংবাদিক শফিক রেহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাদের গণি চৌধুরী, বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ও কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, কালের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হায়দার আলী, বাংলাদেশ প্রতিদিনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আবু তাহের, নির্বাহী সম্পাদক মন্জুরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদ হাসান, ডেইলি সানের সম্পাদক মো. রেজাউল করিম, বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক লুৎফর রহমান হিমেল, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মো. ইয়াসিন হোসেন পাভেল, নিউজ টোয়েন্টিফোরের নির্বাহী সম্পাদক ফরিদ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, সাংবাদিকদের বিপদে-আপদে আমি সব সময় দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। বসুন্ধরা গ্রুপ মিডিয়া জগতে আসার পর থেকেই সাংবাদিকদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের পর তাঁদের সন্তানকে ১৫ লাখ টাকার ডিপোজিট করে দিয়েছিলাম। সেই শিশু ছেলেটি এখন অনেক বড় হয়ে গেছে। জুলাই গণ অভ্যুত্থানে শহীদ পাঁচ সাংবাদিকের পরিবারের পাশেও আমি থাকব। জুলাই গণ অভ্যুত্থানে কয়েক হাজার মানুষ মারা গেছেন, অনেকে আহত হয়েছেন। তাঁদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছি। এ দেশের মানুষ এখন স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে। মিডিয়াতে সত্য লেখা যায়। ড. ইউনূসও বলেছেন সমালোচনা করতে। সত্য যতই অপ্রিয় হোক, সাংবাদিকদের সত্য ঘটনা জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। তাতে সমগ্র দেশ উপকৃত হবে। শফিক রেহমান বলেন, আহমেদ আকবর সোবহান একজন বিস্ময়কর এবং দেশের এক নম্বর উদ্যোক্তা। অনেকে অল্প কিছু করেই বাহবা নেন। তিনি নীরবে অনেক কিছু করে যাচ্ছেন। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড়, সম্ভ্রান্ত ও নিরাপদ আবাসিক এলাকায় পরিণত হয়েছে। তিনি এখন একটি হাসপাতাল নির্মাণ করবেন বলে জেনেছি। আমি বিশ্বাস করি সেটা হবে সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক এবং ভারতের মধ্যে সবচেয়ে উন্নতমানের হাসপাতাল। উদ্যোক্তা অনেক আছেন, উনার মতো দূরদর্শী উদ্যোক্তা আমি দেখিনি। তিনি যা কিছু করেছেন দেশের মধ্যে করেছেন। ব্যবসাবাণিজ্যে ভারতকে বিট করতে এমন উদ্যোক্তা আমাদের দরকার। কাদের গণি চৌধুরী বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে মিডিয়াগুলোর ওপর নানামুখী চাপ ছিল। তখনো বসুন্ধরা গ্রুপের গণমাধ্যমগুলোয় টানা নির্যাতন, নিপীড়ন, দুর্নীতির নিউজ ছাপা হয়েছে। এখন আর চাপ নেই। মিডিয়াগুলো এখন আরও বেশি করে জনগণের কথা বলবে।
SOURCE : বাংলাদেশ প্রতিদিনটঙ্গীতে আগুনে নিহত ৩ ফায়ার সার্ভিস কর্মীর পরিবারের পাশে সায়েম সোবহান আনভীর, চেয়ারম্যান এবিজি
Chairman of ABG Sayem Sobhan Anvir Stands with Families of Firefighters who Lost their Lives in The Tongi Fire
বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ, সচ্ছলতার স্বপ্ন ২ শতাধিক নারীর
Bashundhara Foundation’s Interest-Free Loans Bring the Dream of Prosperity to Over 200 Women
বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে চরফ্যাশনে সেলাই মেশিন বিতরণ
Bashundhara Shuvashangha Distributes Sewing Machines in Charfassion
সড়কের চিত্র বদলে দিতে ব্যবহৃত হচ্ছে বসুন্ধরার বিশেষ বিটুমিন
সীমান্তবর্তী নারীদের পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ
Bashundhara Group Stands Beside Border-Area Women
বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় স্বপ্নপূরণের আশা