All news

কুষ্টিয়ার ডিসির ত্রাণভাণ্ডারে বসুন্ধরা গ্রুপের ৩০০ কম্বল

কুষ্টিয়ার ডিসির ত্রাণভাণ্ডারে বসুন্ধরা গ্রুপের ৩০০ কম্বল

তীব্র শীতে অসহায় শীতার্ত মানুষের জন্য কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের ত্রাণভাণ্ডারে ৩০০ কম্বল দিয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ।

আজ মঙ্গলবার বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে শুভসংঘের উদ্যোগে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজার হাতে ওই কম্বল তুলে দেওয়া হয়।

বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষে কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক ও কুষ্টিয়া জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তারিকুল হক তারিক জেলা প্রশাসকের হাতে এই কম্বল তুলে দেন। এ সময় জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আব্দুর রহমান, জেলা প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি ও ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু, কোষাধ্যক্ষ ও দৈনিক আমার বার্তা পত্রিকার কুষ্টিয়া প্রতিনিধি এনামুল হক, বসুন্ধরা শুভসংঘ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি সাইদুল বারী টুটুল, সাধারণ সম্পাদক কাকলী খাতুনসহ শুভসংঘের সদস্যরা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, বেশ কয়েক দিন ধরে কনকনে শীত জেঁকে বসেছে কুষ্টিয়ায়। রাতভর কুয়াশার পর দিনব্যাপী কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে সড়ক-মাঠঘাটসহ চারপাশ। সেই সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। কয়েক দিন ধরে কুষ্টিয়া জেলার এমন অবস্থা।

প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশার কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছিন্নমূল মানুষের দুর্দশাও বেড়েছে। এসব শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে গত পাঁচ দিনে কুষ্টিয়ার পাঁচটি উপজেলার শীতার্ত অসহায়-দরিদ্র মানুষের মধ্যে মোট ছয় হাজার ৩০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
কনকনে শীতে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রদত্ত কম্বল পেয়ে অসহায় হতদরিদ্র মানুষ উপকৃত ও খুশি হয়েছেন।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা জানান, তীব্র শীতে দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ দরিদ্র অসহায় মানুষের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে। এই শীতে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন উপজেলায় দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করছে। এ জন্য আমি বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা এ ধরনের ভালো কাজ করে আসছেন।

অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করছেন। এই মহতী উদ্যোগের কারণে দরিদ্ররা উপকৃত হচ্ছে। আমি উদ্যোগের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

SOURCE : কালের কণ্ঠ