All news

১৯ গুণীজনকে সম্মাননা দিল বাংলাদেশ প্রতিদিন

১৯ গুণীজনকে সম্মাননা দিল বাংলাদেশ প্রতিদিন

সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় ১৯ গুণীজনকে সম্মাননা দিয়েছে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) গতকাল সোমবার জমকালো আয়োজনে তাঁদের সম্মাননা পদক, স্মারক ও চেক দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর ও ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান পাশে থেকে সম্মাননাপ্রাপ্ত গুণীজনদের অভিনন্দন জানান। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে গুণীজনদের অভ্যর্থনা জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কথাসাহিত্যিক ও কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। গুণীজনদের সম্মাননা জানানোর পর তাঁদের সঙ্গে নিয়ে অতিথিরা গ্রুপ ফটোসেশন করেন। সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন—চিত্রশিল্পী মনিরুল ইসলাম, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, শিক্ষাবিদ ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান, গীতিকার, সুরকার ও চলচ্চিত্র প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ার, মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম বীরবিক্রম, অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ বীরবিক্রম, অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ (মরণোত্তর), স্থপতি মুস্তাফা খালীদ পলাশ, কবি হেলাল হাফিজ, জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ, সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, খ্যাতিমান চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন, কিংবদন্তি অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগম, বাউলসম্রাজ্ঞী কাঙালিনী সুফিয়া, সংগীতশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী, জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার শেখ মো. আসলাম ও চিত্রনায়িকা মৌসুমী। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রস্তুতি পর্বে সম্মাননা গ্রহণে সম্মতি জানিয়েছিলেন অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। কিন্তু করোনা সংক্রমণ-পরবর্তী জটিলতায় তিনি মারা যান। তাঁর স্ত্রী সোহেলী খালেদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন বাংলাদেশের মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণমাধ্যম যখন দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করে তখন রাষ্ট্র এগিয়ে যায়। বাংলাদেশ প্রতিদিন ঠিক সেই কাজটিই করে যাচ্ছে। রাষ্ট্র ও সমাজকে উপকৃত করতে বাংলাদেশ প্রতিদিন শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। পত্রিকাটির মুনশিয়ানা হচ্ছে অল্প কথায় অনেক খবর তারা প্রকাশ করে থাকে। ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এক যুগে প্রবেশ করছে। গুণীজনদের সম্মাননা দেওয়া বিরাট ব্যাপার। আমরা তাঁদের ভুলে যাই। তবে বাংলাদেশ প্রতিদিন তাঁদের মনে রেখেছে। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

SOURCE : কালের কণ্ঠ