সচেতনতা বৃদ্ধিতে আসছে বসুন্ধরার ‘নিরাপদ নিবাস’

বসুন্ধরা দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে। তাই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুর্ঘটনা রোধ এবং মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে দেশব্যাপী প্রচারণায় নামছে বসুন্ধরা গ্রুপ। সচেতনতামূলক এ প্রচারণার নাম দেওয়া হয়েছে ‘নিরাপদ নিবাস’। দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে এক মাসব্যাপী চলবে এই প্রচারণা। জাতীয় প্রেসক্লাবে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লি. আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন অ্যান্ড প্ল্যানিং) প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম এসব কথা জানান। এ সময় এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারের রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবহার সচেতনতা বিষয়ে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, ন্যাশনাল অয়েল করপোরেশন লিবিয়ার সাবেক পেট্রোলিয়াম কনসালটেন্ট প্রকৌশলী এস টি জামিল, এনার্জি সেফটি বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী এম এ রহিম ও জনসংযোগ উপদেষ্টা লে. কর্নেল (অব.) খন্দকার আবদুল ওয়াহেদ। উপস্থিত ছিলেন হেড অব ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং এম এম জসীম উদ্দিন, জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) মীর টি আই ফারুক রিজভী এবং বিএলপিজিএল, এসআইসিএল ও বসুন্ধরা গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বুয়েটের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া বলেন, ‘নিয়মকানুন অনুসরণ না করে সাধারণ এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করলে সিলিন্ডার বিস্ফোরণসহ নানা ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বাজারে নানা ধরনের ভেজাল গ্যাস বিক্রি হচ্ছে। এর মাধ্যমে দুর্ঘটনা ঘটছে। এ জন্য বসুন্ধরার এই সচেতনতামূলক উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। তারা রান্নার কাজে নিয়োজিত মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে সারা দেশে একটি সচেতনতামূলক প্রচারণার উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের বোঝানো হবে কীভাবে সিলিন্ডার ব্যবহার করতে হয়। প্রকৌশলী এস টি জামিল বলেন, ‘দেশে প্রতিবছর ৯ বিলিয়ন সিএফটি গ্যাস ব্যবহৃত হয়। এর অধিকাংশই সিলিন্ডারের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চলে যায়। ফলে এ গ্যাস ব্যবহারের নিয়মকানুন অবশ্যই সবার জানা উচিত।’ প্রকৌশলী এম এ রহিম বলেন, সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করতে এবং ভালো মানের গ্যাস ব্যবহার করে জীবনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তায় বসুন্ধরার উদ্যোগ প্রশংসনীয়। আবদুল ওয়াহেদ বলেন, ‘সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত মানুষের মাঝে পৌঁছে দিতে আমরা সারা দেশে ক্যাম্পেইন করব। রান্নার কাজে জড়িতদের দাওয়াত দেব। তাদের প্রশিক্ষণ দেব।’