শেখ রাসেলই রানার্সআপ

কোনো সমীকরণই কাজে আসেনি। অপেক্ষায়ও থাকতে হয়নি। বড় জয় পেয়েই প্রিমিয়ার লীগে রানার্সআপ হল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। রোববার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত নিজেদের শেষ ম্যাচে শেখ রাসেল ৪-০ গোলে হারায় রহমতগঞ্জকে। বিজয়ী দলের ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড পল ইমিল হ্যাটট্রিক করেন। অপর গোলটি অধিনায়ক মিঠুন চৌধুরীর। ২০ মাচে ৪২ পয়েন্ট পেয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থেকে এবারের লীগ শেষ করল শেখ রাসেল। সমান ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে রহমতগঞ্জ।
শেখ রাসেল এদিন ড্র করলে কিংবা হারলে রানার্সআপ হওয়ার লড়াইটা স্থানান্তরিত হতো আবাহনী-মোহামেডান দ্বৈরথে। ম্যাচের শুরু থেকেই গোল পেতে মরিয়া ছিল শেখ রাসেল। একের পর এক আক্রমণে তারা রহমতগঞ্জের রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। ২৯ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া শেখ রাসেলের ক্যামেরুনের মিডফিল্ডার ইকাঙ্গার দূরপাল্লার শট দারুণভাবে গ্লাভসবন্দি করেন রহমতগঞ্জের গোলকিপার আল-আমিন। ৩২ মিনিটে বক্সের ভেতর বল পেয়ে ইকাঙ্গা ফাঁকা পোস্ট পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন। তার শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ৪২ মিনিটে মিঠুন চৌধুরী বাঁপ্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে শট নেন। এগিয়ে যায় শেখ রাসেল (১-০)।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও মরিয়া হয়ে ওঠেন শেখ রাসেলের ফুটবলাররা। ধারাবাহিক আক্রমণের মুখে ম্যাচে ৫৭ মিনিটে ডানপ্রান্তে কর্নার পায় তারা। মিডফিল্ডার জাহিদ হোসেনের কর্নার থেকে পল ইমিলের হেড রহমতগঞ্জের জালে জড়ায় (২-০)। মিনিট ছয়েক পর তৃতীয় গোল পায় অলব্ল–জরা। এ সময় বাঁপ্রান্ত থেকে মিঠুনের ক্রসে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন পল ইমিল (৩-০)। ৭০ মিনিটে দলের চতুর্থ এবং নিজের তৃতীয় গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ক্যামেরুনের এই ফরোয়ার্ড। প্রায় মাঝমাঠ থেকে মিঠুন চৌধুরী আড়াআড়ি শটে পাস দেন পল ইমিলকে। ডানপ্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে রহমতগঞ্জের বিপদ সীমানায় ইমিল প্রবেশ করলে গোলকিপার আল-আমিন এগিয়ে আসেন। এই সুযোগে ফাঁকা পোস্টে বল ঠেলে দিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন পল ইমিল (৪-০)। লীগে এটি নবম হ্যাটট্রিক। ম্যাচের বাকি সময় বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েও গোলসংখ্যা বাড়াতে পারেনি শেখ রাসেল। বড় জয় দিয়েই লীগ শেষ করল তারা। লীগ শেষ না হলেও ম্যাচ শেষে চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালের মতো মাঠেই তাদের রানার্সআপ ট্রফি তুলে দেয়া হয়।