মুনাফা নয়, সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করে বসুন্ধরা গ্রুপ

বাজারে অন্য ব্যবসায়ীরা শুধু মুনাফার জন্য ব্যবসা করে কিন্তু বসুন্ধরা গ্রুপ সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। সমাজের দরিদ্র অবহেলিত মানুষের জন্য এ প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। গতকাল শনিবার বসুন্ধরা এলপি গ্যাস ‘ফেস্টিভ্যাল অফার-২০১৩’ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
গতকাল দুপুরে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস ‘ফেস্টিভ্যাল অফার-২০১৩’-এর বর্ণাঢ্য পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের ২৫ জন ডিলারকে একটি করে মোটরবাইক ও ভোক্তাদের এলসিডি টিভি, ল্যাপটপ ও বিমান টিকিটসহ ৪০টি পুরস্কার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক ও কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, পণ্যের মানের ক্ষেত্রে বসুন্ধরা কোনো আপস করে না। প্রচুর টাকা হলেই সাধারণ মানুষের প্রতি মমত্ববোধ তৈরি হয় না। কিন্তু বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা (প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া) আবু তৈয়ব বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ মুনাফা নয় সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করছে। এটাই বসুন্ধরা গ্রুপের এগিয়ে চলার প্রধান মন্ত্র। এ গ্রুপ সামাজিক দ্বায়বদ্ধতা থেকে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। ক্রেতা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কোনো কাজ করে না বসুন্ধরা গ্রুপ।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের সভাপতি বসুন্ধরা গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (বসুন্ধরা সিমেন্ট, এলপি গ্যাস ও সুন্দরবন ইন্ডাস্টিয়াল কমপ্লেক্স) মাহাবুব-উজ-জামান বলেন, বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের বোটলিং মংলায় হওয়ায় রাজধানীতে সরবরাহে জটিলতা ছিল। ভোক্তারা যাতে দ্রুতই এলপি গ্যাস পেতে পারে এ জন্য ঢাকার অদূরে কালীগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও বগুড়ায় স্যাটেলাইট বোটলিং স্টেশন বসানো হচ্ছে। আগামী বছরে বোটলিং ক্ষমতা ৪৮ লাখ টনে উন্নীত হবে বলেও জানান তিনি।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বসুন্ধরা গ্রুপের বিভাগীয় প্রধান (ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং) জসীম উদ্দীন, মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয়) নুরুল আলম।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরজুড়ে ফেস্টিভ্যাল অফার দেওয়া হয়। আর ২ নভেম্বর লটারির মাধ্যমে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।