ভবিষ্যতের ভরসা বসুন্ধরা এলপিজি

ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবাই জ্ঞানীর কাজ। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ আগামী ২০-২৫ বছরের মধ্যে ফুরিয়ে আসবে। এরপর কী হবে? দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ ও প্রাকৃতিক গ্যাস রক্ষায় পরিবেশবান্ধব তরল গ্যাসের এলপিজি ব্যবহারই হতে পারে এর সমাধান। গতকাল শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ মেলার শেষদিনে আগত দর্শনার্থীরা বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের স্টল পরিদর্শন করে এমন প্রত্যাশাই ব্যক্ত করেন। যানবাহন ও অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে এলপিজি ব্যবহারের উপযোগী পদ্ধতি নিয়ে ‘আলোর পথে আরো এগিয়ে’ স্লোগানকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার শুরু হয় জাতীয় বিদ্যুৎ মেলা। মেলার বিভিন্ন স্টলের মধ্যে বসুন্ধরার এলপি গ্যাসের স্টলে ভিড় লক্ষণীয়। স্টলটিতে সাধারণ দর্শনার্থীদের পাশাপাশি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও ভিড় জমান। স্টলটিতে বিভিন্ন যানবাহন ও বাসাবাড়িতে ব্যবহার উপযোগী বিভিন্ন সাইজের গ্যাসের সিলিন্ডার প্রদর্শন করা হয়। সিলিন্ডার থেকে প্রয়োজনমাফিক গ্যাস পাওয়ার জন্যও রয়েছে ভ্যাপারাইজার। এছাড়া রয়েছে অটোগ্যাসে কনভার্সনের নানা ধরনের কিটস। বসুন্ধরার এলপি গ্যাসের স্টলে কর্তব্যরত কর্মকর্তারা জানান, সিএনজির তুলনায় এলপিজি বা অটোগ্যাস অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ। প্রতি লিটারে সিএনজিতে যেখানে ৭-৮ কিলোমিটার যাওয়া যায়, সেখানে এ গ্যাসে যাওয়া যাবে ১০ কিলোমিটারেরও বেশি। একই সঙ্গে ৪৫ লিটার গ্যাসের একটি সিলিন্ডারে চলবে সাড়ে চারশ কি.মি.। অর্থাৎ একবার গ্যাস নিলে একসপ্তাহ নিশ্চিন্ত। আবার খালি সিলিন্ডারের ওজন সিএনজি সিলিন্ডারের অর্ধেকেরও কম। গ্যাসের সিস্টেম লস ও প্রাকৃতিক গ্যাস রক্ষায় মিটার পদ্ধতিতে বড় অ্যাপার্টমেন্টে এলপিজি স্থাপনের ব্যবস্থাও করা যাবে। রাজধানীর লা মেরিডিয়ানসহ কয়েকটি উন্নত আধুনিক ভবনে এলপিজি গ্যাস ব্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। মেলায় আবেদিন ইকুইপমেন্টের হেড অব সেলস আবু হাসান মো. মুকিতের সঙ্গে কথা হয় বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের স্টলে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানির চাহিদা মেটাতে এবং প্রাকৃতিক গ্যাস সংরক্ষণে এটা সময়োপযোগী ধারণা। প্রয়োজনে এলপিজির ব্যবহার বাড়াতে সরকারের ভর্তুকি দেয়া উচিত। বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের অপারেশন ও প্লানিং বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, জ্বালানির চাহিদা ও পরিবেশের ঝুঁকির কথা মাথায় রেখেই বসুন্ধরা যানবাহন ও বড় অ্যাপার্টমেন্টে ব্যবহার উপযোগী সিলিন্ডার, ভ্যাপারাইজারসহ নানা ধরনের ছোটখাটো যন্ত্রপাতি তৈরি করছে যার কিছু অংশ প্রদর্শনীতে আনা হয়েছে। এ গ্যাসের ব্যবহার যানবাহনের ইঞ্জিনের জন্য সহায়ক আবার গ্যাস সংযোগহীন ভবনগুলোতেও গ্যাস ব্যাংক তৈরি করে এলপিজির ব্যবস্থা করা যাবে বলে জানান তিনি।