বাজেট আরো বাড়াচ্ছে শেখ রাসেল

বাজেট ছিল আট কোটি টাকা। ছিলেন জাতীয় দলের জাহিদ, এমিলি, মিশু, মিঠুন, হেমন্ত, লিটন, তপুরা। তারপরও ফেডারেশন কাপ ও পেশাদার লিগের শিরোপা জেতা হয়নি। মন্টিনেগ্রোর কোচ তাড়িয়ে স্থানীয় মারুফুল হককে দায়িত্ব দিয়েও কাজ হয়নি। রানার্সআপে সন্তুষ্টি লিগে। এই শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে পেছনে ফেলে চলতি মওসুমে দুই আসরেরই ট্রফি ঘরে তোলে লে. শেখ জামাল ধানমন্ডি কাব। কিন্তু ২০১২-১৩ মওসুমের ট্রেবল জয়ীরা এই ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে আগামী সিজনে সব ট্রফি জেতার লক্ষ্য স্থির করেছে। এ মিশনে বাজেট যেমন বাড়িয়েছে তারা, তেমনি আরো তারকা খেলোয়াড় দলে নিচ্ছে। ১২ সেপ্টেম্বর কাবের সভা শেষে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। কাবের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
আগামী মওসুমে চ্যাম্পিয়ন ফাইটিং দল গড়ার ঘোষণা আনুষ্ঠানিকভাবেই দিয়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। কোচ শফিকুল ইসলাম মানিককে দায়িত্বও দেয়া হয়। বন্দরনগরীর দলটির পাশাপাশি শেখ রাসেলও শিরোপাজয়ী দল গড়ছে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল তো আছেই। ফলে এ সুযোগে পারিশ্রমিকও আকাশচুম্বী চাচ্ছেন ফুটবলারেরা। এ ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য দিয়েও কাব কর্মকর্তাদের বিভ্রান্ত করছেন ফুটবলারেরা। যেমন বলা হলো ‘ওই কাব আমাকে এত দিবে বলেছে। সুতরাং আমাকে নিতে হলে টাকা আরো বেশি দিতে হবে।’ অথচ ওই ফুটবলারের সাথে কথাই বলেনি কোনো কাব। যাই হোক, কাবগুলোর এই প্রতিযোগিতায় জমজমাট দলবদলের ইঙ্গিত মিলছে।
এ মিশনে বাজেট বাড়িয়ে দিয়েছে শেখ রাসেল। সূত্র মতে, আসন্ন মওসুমের জন্য ১০ কোটি টাকা বাজেট করেছে তারা। তবে গতবারের দলের মাত্র ছয়জনকে রাখার সিদ্ধান্ত। এ তালিকায় আছেন গোলরক্ষক লিটন, ডিফেন্ডার মিশু, মিডফিল্ডার হেমন্ত, ফরোয়ার্ড জাহিদরা। বিবেচনায় নেই স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলির নাম। বাদ গোলরক্ষক মামুন খানও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাবের এক পরিচালক জানান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রায় সবাইকেই দলভুক্ত করার পরিকল্পনা শেখ রাসেলের। লক্ষ্য এবারের শেখ জামাল দল ভাঙা। পাশাপাশি ঢাকা আবাহনী ও মোহামেডান থেকেও খেলোয়াড়ের সাথে কথা বলা প্রায় শেষ। বিদেশীদের মধ্যে নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার পল এমিলিকে রেখে দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া হাইতির জাতীয় দলের স্ট্রাইকার বেডফোর্ডের সাথেও কথা চলছে। মাসে ১৮-২০ হাজার ডলার বেতন দাবি তার। আরেক হাইতিয়ান সনি নর্ডির সাথে যোগাযোগ করা হলেও কলকাতার মোহনবাগান তাকে মওসুমে তিন কোটি রুপি দিচ্ছে। তাই আসবে না শেখ রাসেলে।
কোচের পদে বহাল থাকছেন মারুফুল হকই। বিদেশীও খোঁজা হচ্ছে জানিয়েছে সূত্রটি। একই সাথে ঢাকার বাইরে ভেনু নেয়ারও ইচ্ছে তাদের। সিলেট বা রংপুর তাদের পছন্দ। একই সাথে বসুন্ধরার প্র্যাকটিস মাঠকে আরো অত্যাধুনিক করা হচ্ছে। এবার লিগ রানার্সআপ হওয়ায় বসুন্ধরার কর্মকর্তারা শেখ রাসেলকে ২৫ লাখ টাকা বোনাস দেন।