বসুন্ধরা সিমেন্ট রাজমিস্ত্রি সম্মেলন সাতক্ষীরায়

লবণাক্ততা প্রতিরোধ করে স্থাপনা নির্মাণে শক্তির প্রতীক বসুন্ধরা সিমেন্ট। এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের সঙ্গে সুদৃঢ় বন্ধন গড়ে তুলতে নির্মাণকাজে বসুন্ধরাই সেরা। সবচেয়ে মিহি ও ৫৭০০ পিএসআই শক্তিসম্পন্ন বসুন্ধরা সিমেন্ট তৈরি হয় জার্মান প্রযুক্তিতে উন্নত কাঁচামাল দিয়ে। এ জন্য নির্মিতব্য পদ্মা সেতুতেও ব্যবহৃত হচ্ছে বসুন্ধরা সিমেন্ট।
গতকাল সোমবার সাতক্ষীরা শহরের অদূরের মন্টু মিয়ার বাগানবাড়িতে অনুষ্ঠিত বসুন্ধরা সিমেন্ট রাজমিস্ত্রি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বসুন্ধরা সিমেন্ট পশ্চিম জোনের এজিএম (সেলস) মো. ইমাম ফারুক এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সিমেন্টশিল্পে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উৎপাদনক্ষম আধুনিক কারখানা রয়েছে একমাত্র বসুন্ধরা সিমেন্টের। বর্তমানে দেশে সবচেয়ে বেশি সিমেন্ট উৎপাদন করছে বসুন্ধরা। বসুন্ধরা সিমেন্ট তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে জার্মান প্রযুক্তি, যা সিমেন্টের সূক্ষতা বাড়িয়ে দেয় এবং স্থাপনার দীর্ঘস্থায়ী শক্তির নিশ্চয়তা দেয়। উৎপাদনের প্রতিটি ধাপে ব্যবহৃত হয় স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটারাউজ প্রযুক্তি। রাজমিস্ত্রিদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, ‘দেশ ও মানুষের কল্যাণে বসুন্ধরা গ্রুপ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ সাফল্য আপনাদের সবারই।’ এ সময় ইমাম ফারুক ভবিষ্যতে রাজমিস্ত্রিদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি ও নির্মাণকাজ করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। সম্মেলনে বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শামিমা পারভীন রত্নার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বসুন্ধরা সিমেন্টের খুলনা ডিভিশনের ডেপুটি ম্যানেজার জিয়াউর রহমান। ছিলেন বসুন্ধরা সিমেন্টের স্থানীয় পরিবেশক সালাউদ্দিন বাপ্পী ও রুহুল আমিন মিঠু।
মাল্টিমিডিয়ায় স্থাপনা নির্মাণের বিভিন্ন বিষয়ে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন বসুন্ধরা সিমেন্টের টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. কাওছার হোসেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী শামিমা পারভীন রত্না। পরে রাজমিস্ত্রিদের অংশগ্রহণে র্যাফেল ড্র ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সম্মেলনে অংশ নেওয়া নলতার রাজমিস্ত্রি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সম্মেলনে অংশ নিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমি সব সময় বসুন্ধরা সিমেন্টে কাজ করি। বর্তমানেও নলতা খান বাহাদুর আহসানুল্লাহ (র.)-এর রওজা শরিফে ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে মসজিদ নির্মাণ চলছে বসুন্ধরা সিমেন্ট দিয়ে।’
একইভাবে শ্যামনগর থেকে আসা রাজমিস্ত্রি আবদুর রহমানসহ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী রাজমিস্ত্রিরা বলেন, সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মাণকাজসহ এলাকায় বহু সংখ্যক সরকারি ও বেসরকারি ভবন নির্মাণকাজ বসুন্ধরা সিমেন্ট দিয়েই হচ্ছে। আজকের মতো এ ধরনের আয়োজন রাজমিস্ত্রিদের নিয়ে অন্য কোনো সিমেন্ট কম্পানি করে না।