বসুন্ধরা কারখানা করবে শিকদারের অর্থনৈতিক অঞ্চলে

শিকদারের গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান মোংলার পাওয়ার প্যাক ইকোনিক জোনে কারখানা করবে বসুন্ধরা গ্রুপ। নিজেদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য ওই কারখানায় ব্যাগ উৎপাদন করা হবে। এ জন্য ১৬ একর জমি নিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। গতকাল রবিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে জমি লিজ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ওই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান তানভীর, পাওয়ার প্যাক জোনের গ্রুপ পরিচালক জন হক শিকদার উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মোংলার এই অর্থনৈতিক অঞ্চল বেজার
সহযোগিতা বেসরকারি অংশীদারত্বের ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করছে শিকদারের গ্রুপের পাওয়ার প্যাক ইকোনমিক জোন প্রাইভেট লিমিটেড। ৫০ বছরের চুক্তিতে ২০৫ একর জমিতে এই জোন তৈরি করা হয়েছে। এই জোনে প্রথমবারের মতো কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সরকারি জমিতে নকশা, নির্মাণ, মালিকানা গ্রহণ, অর্থায়ন, পরিচালনা ও হস্তান্তরের জন্য দেওয়া হয়েছে। এই অঞ্চলে ১৬ একর জমিতে কারখানা করবে বসুন্ধরা গ্রুপ। ওই কারখানায় বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কৌশলগত অবস্থানের কারণে এই জোনটি অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। মোংলা সমুদ্রবন্দরের এক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। প্রস্তাবিত খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মিত হচ্ছে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে। পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হলে এই জোনের সঙ্গে রাজধানীসহ সারাদেশের যোগাযোগ অনেক সহজ হয়ে যাবে। এতে মোংলা বন্দর ও এই জোনের অর্থনৈতিক কর্মকা- অনেক গতিশীল হবে। মোংলার এ অর্থনৈতিক অঞ্চল শিল্প-কারখানা স্থাপনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ এগিয়ে চলছে। এ অঞ্চলটি কাস্টমস ওয়ারহাউজ হিসেবে বিবেচিত। দেশি-বিদেশি অনেক বড় বড় গ্রুপ এখানে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে।
বসুন্ধরা দেশের অন্যতম বৃহত্তম শিল্পগ্রুপ। বিভিন্ন খাতের ব্যবসায় গ্রুপটি শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। ১৯৮৭ সালে ইস্ট-ওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট নামে রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে বসুন্ধরা গ্রুপ।