বসুন্ধরার পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাবিতে বসন্ত উৎসব ১৫ মার্চ

গ্রাম-বাংলার বিখ্যাত পুতুল নাচ, ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, গম্ভীরাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে আগামী ১৫ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বসন্ত উৎসব-১৪২২। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কালচারাল সোসাইটি প্রথমবারের মতো এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। গতকাল বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় বসন্ত উৎসবের লোগো ও থিম সং উন্মোচন করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি কালচারাল সোসাইটির মডারেটর এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী, সংগঠনের সভাপতি ওয়াসেক সাজ্জাদ, সাধারণ সম্পাদক আহসান রনি, স্পন্সর দাতা সংস্থা বসুন্ধরা গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান, জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) মাসুদুজ্জামানসহ সংগঠনের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী বলেন, প্রথমবারের মতো ক্যাম্পাসে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কালচারাল সোসাইটি। এই অনুষ্ঠানে গ্রামীণ সংস্কৃতির বিভিন্ন চিত্র ফুটে উঠবে। এতে গ্রামীণ মেলার বিভিন্ন পরিবেশনার মধ্যে রয়েছে পুতুল নাচ, ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, গম্ভীরা, গীতিনাট্য, মঞ্চনাটক, আবৃত্তিসহ নানান কর্মসূচি। এ ছাড়া অংশ নেবেন জলের গান ও বিশিষ্ট শিল্পী কিরণ চন্দ্র রায়। অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে পরিচালিত হওয়ার জন্য তিনি সংগঠনের সব সদস্যের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বসন্ত বাঙালির গানের উৎসব। এ ধরনের একটি উৎসবের সঙ্গে থাকতে পারায় আমরা আনন্দিত ও গর্বিত। এ উৎসবকে সফল করার জন্য বসুন্ধরার পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে। মাসুদুজ্জামান বলেন, উৎসবই জীবন। উৎসব ছাড়া জীবন বড় বেসুরো। দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করা বসুন্ধরাও এ উৎসব উপভোগ করতে চায়। কেননা উৎসবের মাধ্যমেই আমাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করতে পারি। অনুষ্ঠানের শেষে ঢাবি কালচারাল সোসাইটির সভাপতি ওয়াসেক সাজ্জাদ এবং সাধারণ সম্পাদক আহসান রনি অনুষ্ঠানের সার্বিক দিক সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে ইভেন্টের স্পন্সর ও আয়োজকদের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।