বসুন্ধরার টগি ওয়ার্ল্ডে শিশু কিশোরদের উচ্ছ্বাস

বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের আট তলায় উঠতেই দেখা গেল ভিন্ন এক শিশুরাজ্য। অসংখ্য শিশু-কিশোরের প্রাণোচ্ছল উপস্থিতি, আনন্দমুখর উচ্ছ্বাস। কেউ চেপে বসছে ঘোড়ার পিঠে, কেউ নাগরদোলায়, কেউ বাম্পার কারে। আনন্দের নানা রাইড ও খেলার সরঞ্জাম চারদিকে। শিশুদের নির্মল আনন্দে মেতে উঠেছে রাজধানীর বৃহত্তম ইনডোর থিম পার্ক টগি ওয়ার্ল্ড। গতকাল শনিবার বিকেলে ও সন্ধ্যায় টগি ওয়ার্ল্ড ঘুরে দেখা যায়, ঈদের ছুটিতে নানা বয়সের শিশু ও তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে গমগম করছে গোটা পার্ক।
বসুন্ধরা সিটির লেভেল ৮ ও ৯-এ প্রায় ৩৭ হাজার বর্গফুট আয়তনের দুুুুটি বিশাল ফ্লোর নিয়ে সাজানো টগি ওয়ার্ল্ড পার্ক। সেখানে গতকাল মা-বাবার সঙ্গে ঘুরতে এসেছিল আট বছরের সারা। আনন্দ প্রকাশ করে সারা বলল, ‘অনেক ভালো লেগেছে আমার। তিনটা রাইডে উঠেছি, অনেক মজা পেয়েছি।’
ওয়ার্ল্ডের ম্যানেজার (অপারেশনস) মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা শিশুদের নিরাপত্তার দিকে বেশি গুরুত্ব দিই। তাদের নিরাপদ বিনোদন ও হাসিখুশির দিকে মনোযোগ দিই। আধুনিক ও বৈচিত্র্যপূর্ণ এ পার্কটি সত্যিই অন্য রকম। এখানে রয়েছে জাইরোস্কোপ, মিনি টাওয়ার, বাম্পার কার, লিটল প্লেনসহ মোট ১৫টি আকর্ষণীয় রাইড, ৪৩টি গেমস এবং কিডস ও ভিআইপি বোলিং। এ ছাড়া আছে ৫০টি শিশু-কিশোর ধারণক্ষমতার একটি পার্টি রুম, যেখানে জন্মদিনের পার্টিসহ নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে।
জানা যায়, ঈদের ছুটিতে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষ আসছে এখানে। ছোটদের সঙ্গে আসছে অভিভাবকরাও। তাদের সংখ্যাও অনেক।
ঢাকা শহরে চার দেয়ালে বন্দি জীবন আর মাঠবিহীন বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করা শিশুদের একটুখানি আনন্দ উপভোগের সুযোগ দিতেই এই থিম পার্কের প্রতিষ্ঠা। থাইল্যান্ডের একটি বিখ্যাত পার্কের আদলে এই থিম পার্কের যাত্রা শুরু। এর উদ্বোধন হয়েছে গত বছর পহেলা বৈশাখ। এর পর থেকে তা হয়ে উঠেছে শিশুদের প্রিয়তম স্থান।
পার্কে বাচ্চাদের জন্য চালু হয়েছে কিডস বোলিং। দেশের আর কোনো ইনডোর পার্কে তা নেই। বড়দের জন্য রয়েছে ভিআইপি বোলিং। আর বাচ্চাদের পার্টি মানে শুধু খাওয়া-দাওয়া নয়, সারা দিনই বিভিন্ন রাইডে চড়ে আনন্দ উপভোগের সুযোগ রয়েছে। ছোট বাচ্চাদের জন্য রয়েছে সফট প্লে জোন, যা বাচ্চাদের মানসিক বিকাশে সহায়তা করবে। চার বা তার কম বয়সী বাচ্চাদের জন্য রয়েছে টডলার প্লে জোন। বড়দের জন্যও রয়েছে বিভিন্ন রাইড। এ ছাড়া পার্কে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার বিখ্যাত কাবাব চেইন বাবা রাফির আউটলেট।
পার্কে প্রবেশ ফি জনপ্রতি ৫০ টাকা। এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষে রয়েছে নানা প্যাকেজ অফার। রবি থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শুক্র ও শনিবার সকাল ১১টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত খোলা। মঙ্গলবার সাপ্তাহিক বন্ধ।