কলিনড্রেসের বিকল্প ভাবছে বসুন্ধরা

করোনায় বাতিল হয়ে গেল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল। বিদেশি ফুটবলাররাও চলে গেছেন নিজ নিজ দেশে। মৌসুম বাতিল হওয়ায় প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোও যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে। কিন্তু এএফসি কাপে খেলা বসুন্ধরা কিংসে নেই কোনো স্বস্তি। জাতীয় দলের তারকা ফুটবলারদের সঙ্গে ভালোমানের বিদেশিদের নিয়ে দল গড়া বসুন্ধরা আছে বেকায়দায়। বিদেশিদের পেছনে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ ব্যয় করা কিংস পড়ে গেছে মহাসংকটে। বিশেষ করে রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলা কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড ড্যানিয়েল কলিনড্রেসকে হারানোর শঙ্কা পেয়ে বসেছে ক্লাব কর্মকর্তাদের মনে। কলিনড্রেসের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ বিপিএলের গত আসরের চ্যাম্পিয়নদের। কোস্টারিকান এ ফুটবলারকে এএফসি কাপে আর পাচ্ছে না কিংস। যে কারণে এএফসি কাপের জন্য কলিনড্রেসের বিকল্প খুঁজছে বসুন্ধরা।
গত ১১ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠিত এএফসি কাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসের বিপক্ষে ৫-০ গোলে জিতেছিল বসুন্ধরা। কিংসের এএফসিতে অভিষেকের ম্যাচে আলো কেড়েছিলেন লিওনেল মেসির আর্জেন্টাইন সতীর্থ হার্নান বার্কোস। শক্তিশালী বিদেশি নিয়ে দল সাজানো কিংসের আছে নিকোলাস দেলমন্তে, বখতিয়ার ও নাজারভের মতো তারকা ফুটবলার। তাদের সঙ্গে কিংসের চুক্তি সেপ্টেম্বর-অক্টোবর পর্যন্ত। তার আগে যদি এএফসি কাপের ম্যাচ শুরু হয় তাহলে বার্কোস, দেলমন্তে, নাজারভ ও বখতিয়ারকে পাবে বসুন্ধরা। কিন্তু করোনার কারণে এর পরে যদি এএফসি কাপ শুরু হয়, তাহলে বর্তমান দলে থাকা কোনো বিদেশিকেই পাবে না কিংস। আর গত ৩১ মে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়া কলিনড্রেসকে তো পাওয়ার সুযোগই নেই। এর সঙ্গে আছে দলবদলের বাধ্যবাধকতা। সাধারণত বিদেশি ফুটবলার নেওয়ার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় দেয় ফিফা। উইন্ডোর বাইরে বিদেশি ফুটবলার রেজিস্ট্রেশন করা যায় না। বসুন্ধরার জন্য এটাও বড় বাধা। তাই নতুন করে ফুটবলার নিতে এএফসির কাছে বিদেশি উইন্ডোর আবেদন করেছে কিংস। আগামীকাল দক্ষিণ এশিয়ান ক্লাবগুলোর সঙ্গে এএফসির কর্মকর্তারা অনলাইনে মিটিং করবেন। সেখানে এএফসি কাপ এবং বিদেশি ফুটবলার ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। আর বাকি ম্যাচগুলোর তারিখও নির্ধারণ করবে এএফসি। শেষ পর্যন্ত এএফসি কাপ মাঠে গড়ালে বিদেশি নিয়েই সমস্যায় পড়তে হবে বসুন্ধরাকে।
ঘরোয়া মৌসুমের দলবদল শুরু হলে বর্তমান খেলোয়াড়দের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি নিয়ে ভাবতে পারত বসুন্ধরা। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারির কারণে কবে নাগাদ শুরু হবে লিগ, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এমন অনিশ্চয়তার মধ্যে কোনো কিছুই করতে পারছে না বসুন্ধরা। খেলা না হওয়ায় এমনিতেই কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে ক্লাবটির। আর তাই এখন কলিনড্রেসের সঙ্গে নতুন চুক্তি করে বসে বসে বেতন দিতে চায় না বসুন্ধরা। বর্তমানে কলিনড্রেস ফ্রি ফুটবলার। যে কেউ তাকে দলে নিতে পারবে। সবকিছু মিলিয়ে দলের সেরা তারকাকে নিয়ে বসুন্ধরা আছে ঝামেলায়। ক্লাব প্রেসিডেন্ট ইমরুল হাসান বলেন, ‘কলিনড্রেস আমাদের দলের সেরা তারকা। চুক্তির কারণে তাকে হয়তো আমরা এএফসি কাপে নাও পেতে পারি। সেজন্য অন্য বিদেশি যেন নিতে পারি তার ব্যবস্থা করতে এএফসির কাছে আবেদন করেছি।’