এএফসির দ্বারস্থ বসুন্ধরা কিংস

প্রিমিয়ার লিগসহ ফুটবল মৌসুমের বাকিটা পরিত্যক্ত হলেও বসুন্ধরা কিংস ফেঁসে আছে এএফসি কাপ নিয়ে। তাদের একটি ম্যাচ হওয়ার পর বন্ধ হয়ে যাওয়া এএফসির এই টুর্নামেন্ট নিয়ে তারা পুরোপুরি অন্ধকারে। তাই বিদেশি ফুটবলারদের রাখবে না ছাড়বে, এ নিয়ে পড়েছে দ্বিধায়। দ্বিধা অন্ধকার কাটাতে তারা অপেক্ষায় আছে এএফসি গাইডলাইনের।
গাইডলাইনের জন্য বসুন্ধরা কিংস গতকাল চিঠি পাঠিয়েছে এএফসির কাছে। বসুন্ধরা কিংসের প্রেসিডেন্ট ইমরুল হাসান বলেছেন, ‘লিগ পরিত্যক্ত হলেও আমাদের দুশ্চিন্তা শেষ হচ্ছে না। খুব বিপদে আছি আমরা। বিদেশি ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে অথচ এএফসি কাপ আবার কবে শুরু হবে তার কোনো ধারণা নেই আমাদের। বিদেশির ব্যাপারে কী করব, তার কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না আমরা। এসব বিষয়ে নির্দেশনার জন্য চিঠি লিখেছি এএফসির কাছে।’
গত ১১ মার্চ বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নের এএফসি কাপে অভিষেক হয় মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসের বিপক্ষে ৫-১ গোলের জয় দিয়ে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার বারকোসের চার গোলে রাঙানো এই ম্যাচের পর করোনায় স্থগিত হয়ে যায় টুর্নামেন্ট। এদিকে দেশের ঘরোয়া ফুটবল মৌসুম পরিত্যক্ত হওয়ায় বিদেশি ফুটবলারের চুক্তি নিয়ে তারা বিপাকে পড়ে। তাই নির্দিষ্ট না হলেও টুর্নামেন্ট শুরুর একটা আনুমানিক সময় তারা জানতে চেয়েছে এএফসির কাছে। কিংস নিজেদের সমস্যাটার কথাও তুলে ধরেছে এএফসির কাছে। ‘এর মধ্যে ফুটবলারদের সঙ্গে ক্লাবের চুক্তি শেষ হচ্ছে, তাই নতুন খেলোয়াড় নেওয়ার কোনো ট্রান্সফার উইন্ডো পাবে কি না, সেটা জানতে চেয়েছি। যেমন কলিনদ্রেসের সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে মে মাসে। এখন আমরা কী করব, তার সঙ্গে নতুন চুক্তি করব নাকি ছেড়ে দেব। খেলা যদি অক্টোবরে শুরু হয়, আরো চার মাস তাকে বসিয়ে বেতন দিতে হবে’—ইমরুল হাসান বলেছেন তাঁদের সমস্যার কথা। অন্য বিদেশিদের সঙ্গে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর পর্যন্ত চুক্তি আছে কিংসের। এদিকে ঘরো লিগ পরিত্যক্ত ঘোষণার পর বিদেশিদের সঙ্গে ক্লাব কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিক আলাপ শুরু করেছেন। বেতনের ব্যাপারে ক্লাব ও খেলোয়াড়দের মধ্যে একটা সমঝোতায় আসার চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে বিদেশি ফুটবলাররাও আন্তরিক বলে জানিয়েছেন বসুন্ধরা কিংস প্রেসিডেন্ট।