করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) আক্রান্তের চিকিৎসায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) নির্মিত হাসপাতালটি উদ্বোধনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সেই হিসেবে আজ দুপুর ১২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু করা হবে। দেশের দুর্যোগের সময় দ্রুততার সঙ্গে নির্মিত বৃহত্তম এ হাসপাতালটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। গতকাল বসুন্ধরা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গতকাল স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এইচইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম বলেন, হাসপাতালের অবকাঠামোগত কাজ আমরা শতভাগ শেষ করেছি। এখানে পরিচালক, সহকারী পরিচালক নিয়োগ হয়েছে। এখন তাদের হাতে হাতে সবকিছু বুঝিয়ে দেব। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যখন মনে করবে তখন চালু করবে। অফিস থেকে জানতে পেরেছি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৯ মে দুপুর ১২টায় হাসপাতালটি উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক করেছে। আমরা সেই অপেক্ষায় আছি এবং শতভাগ প্রস্তুত আছি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা যতটুকু শুনেছি ডাক্তার-নার্স নিয়োগ হয়ে গেছে। কী কী সহায়ক জনবল দরকার সেটা নিয়োগ দিয়ে হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব এখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। আজ (গতকাল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দুজন কর্মকর্তা অনানুষ্ঠানিক সফরে হাসপাতালটি ঘুরে গেছেন। আমরা তাদের সবকিছু দেখিয়েছি। তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ধারণা করছি, প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে হাসপাতালটি উদ্বোধন করতে পারেন।

উদ্বোধনের ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, ৯ মে দুপুর ১২টায় উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে। কে উদ্বোধন করবেন সেটা এখনো ঠিক হয়নি। মন্ত্রী মহোদয় পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি ঠিক করবেন।

এদিকে আইসিসিবির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এমএম জসীম উদ্দিন গতকাল বিকালে বলেন, ৯ মে উদ্বোধনের কথা মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে এখনো চিঠি পাইনি। এর আগে ৪ মে উদ্বোধনের একটা তারিখ পেয়েছিলাম। তবে সেটা হয়নি। তাই চিঠি না পেয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছি না।

উল্লেখ্য, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দিতে সরকারকে আইসিসিবিতে ৫ হাজার শয্যার একটি সমন্বিত অস্থায়ী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দিলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল পরিদর্শন করে হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। নানা হিসাবনিকাশ শেষে সেখানে ২ হাজার ১৩ শয্যার হাসপাতাল ও ৭১ শয্যার আইসিইউ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আইসিসিবির সুবিশাল চারটি কনভেনশন হল ও একটি এক্সপো ট্রেড সেন্টারে দেশের অন্যতম বৃহৎ এ হাসপাতালটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে সরকারের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।