অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণে বসুন্ধরা সিটি একটি মডেল

অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণের মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম শপিংমল রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি। দৃষ্টিনান্দনিকতায়ও এটি সেরা। গতকাল বেলা ১১টায় বসুন্ধরা শপিংমলে অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ ব্যবস্থার বাস্তব জ্ঞান নিতে এসেছিলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ট্রেনিং কমপ্লেক্সে লিডারশিপ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কোর্সের ৩৩ জনের পরিদর্শন দলের শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা। এ সময় কোর্সে অংশ নেওয়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সঙ্গে ছিলেন। ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের বিভিন্ন অঞ্চলের ডেপুটি অ্যাসিস্টেন্ট ডাইরেক্টর (ডিএডি), সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার (এসএসও), স্টেশন অফিসার (এসও) এবং ওয়ার হাউস পরিদর্শকরা প্রশিক্ষণে অংশ নেন। বসুন্ধরা সিটির ফায়ার সেফটি ইনচার্জ গাজী গোলাম মোস্তফা ও ফায়ার অ্যান্ড সেফটি ইন্সপেক্টর বসির উদ্দিন ফকির দলটিকে বসুন্ধরা সিটির বেজমেন্ট-২ এর ফায়ার অফিস, অ্যালার্ম প্যানেল, পাম্প হাউস, ইলেকট্রিক পাম্প, ডিজেল পাম্প ও জকি পাম্প কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা বাস্তবে দেখান। দলটির নেতৃত্ব দানকারী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ট্রেনিং কোর্সের অ্যাডজুটেন্ট মো. সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘বসুন্ধরা সিটির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় আধুনিকতার ছোঁয়া নিয়ে আসা হয়েছে। বসুন্ধরা শপিংমলের আধুনিক অগি্ননির্বাপণের যন্ত্রপাতি খুবই উন্নতমানের। যা সাধারণত অন্য শপিংমলে দেখা যায় না। আধুনিক বাস্তব জ্ঞানদানের জন্য আমরা এখানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসি।’ তিনি বসুন্ধরা গ্রুপকে পরিদর্শনের সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। বসুন্ধরা সিটি ডেভেলপমেন্টের ইনচার্জ ও বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা (টেকনিক্যাল) টিআইএম লতিফুল হোসেন বলেন, বসুন্ধরা সিটিতে আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আধুনিকতায় সমৃদ্ধ। বসুন্ধরা গ্রুপের স্লোগান হচ্ছে- ‘দেশ ও মানুষের কল্যাণে’। সে জন্যই মালিকপক্ষ উন্নত দেশ থেকে আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে এসে এ শপিংমলে স্থাপন করেছে। বসুন্ধরা সিটি শপিংমলটি দৃষ্টিনান্দনিকতার কারণে দেশি-বিদেশিদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। এরই মধ্যে দেশি-বিদেশি একাধিক অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছে এটি।